নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার আফতাব উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে আবু হানিফ দেওয়ান রনি হার্টের রোগী হওয়ায় তার স্ত্রী সেলি বেগম দোকানদারকে তার কাছে সিগারেট বিক্রি না করার জন্য অনুরোধ করেন। অনুরোধ করার পরও দোকানদার তার কাছে সিগারেট বিক্রি করায় রনির স্ত্রী দোকানদারের উপর রাগ হয় সেই জন্য দোকানদার তাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং তাদের বসত বাড়ি ভাঙচুর করে তাই রনি দেওয়ান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে দোকানদার রনি দেওয়ানের নামে থানায় পাল্টা লিখিত অভিযোগ ও বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকার করেন।দোকানদারের সংবাদ ও অভিযোগ মিথ্যা বলে রনি দেওয়ান প্রতিবাদ সংবাদ প্রচার করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ জুন শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি রিং স্থাপনসহ চিকিৎসা নিয়ে এর একদিন আগেই গত ১৭ জুন শুক্রবার বাড়ি ফেরেন রনি দেওয়ান। এ অবস্থায় সিগারেট ঝুঁকিপূর্ণ জেনে স্ত্রী পূর্বেই তার স্বামীর কাছে দোকানদার মো. জাকির হোসেনকে সিগারেট বিক্রি করতে নিষেধ করেন। নিষেধ করার পরও তার স্বামীকে সিগারেট দেওয়ায় ঐ দোকানদারের সাথে রেগে ওঠেন স্ত্রী সেলি বেগম। তার এমন রাগ দেখে পাল্টা দোকানদারও চটে যান এবং চড়াও হয় সেলি বেগমের উপর।
রনি দেওয়ান বলেন, আমি লুকিয়ে দোকানে গিয়ে সিগারেট জালানোয় আমার স্ত্রী দোকানদারের সাথে রাগারাগি করে। আমি এর জন্য দোকানদারের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাই এবং আমার স্ত্রীকে বাসায় নিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু দোকানদার জাকির হোসেন আমার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নানা ধরনের অকথ্য ও অশালীন ভাষায় কথা বলে।
পরে আমরা বাসায় চলে আসার পর দোকানদার একাধিক লোকজন এনে রাস্তায় দাড়িয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে গালমন্দ ও হুমকি প্রদান করে। এসময় তারা আমার বাড়ির নিচতলার জানালার থাই গ্লাস ভাঙচুর করে। যার নেতৃত্ব দেয় নাসিক ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল, জামান ও দোকানদার জাকির হোসেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রনি দেওয়ান ও তার স্ত্রী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আসাদ সবুজ। তিনি জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগকারীর বসতবাড়ির জানালার কাঁচ ভাঙা পেয়েছি। কারা ভেঙেছে, বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।