নারায়নগঞ্জ ফতুল্লা থানার হাজীগঞ্জ সিমান্তবর্তী পাঠানটুলী কবরস্থান পানির পাম্প এর সামনে রাতে পৃথক ভাবে কিশোর গ্যাং এর ছুরিকাঘাতে স্বপন ও মিরাজ দু জন রক্তাক্ত জখম হয়।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেও পাচ্ছে না আইনী সহযোগিতা। পুলিশি তৎপরতা না থাকায় আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে এমটাই অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
এর আগে, গত সোমবার (১৫ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১০ ও ১০.৩০ মিনিটে স্বপন ও মিরাজ কে রাতের আঁধারে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনার বিবরনে বাদীপক্ষ বলেন, উত্তর হাজীগঞ্জ পাঠানটুলী কবরস্থান সংলগ্ন স্বপন(১৯) ও মিরাজ(১৫) উভয়ে বাসায় আসার পথে পানির পাম্প এর সামনে তাদের গতিপথ রোধ করেন ফতুল্লা থানার হাজীগঞ্জ প্রাইমারী স্কুলের কিশোর গ্যাং দলের ভূট্রর ছেলে রাজ (১৮),শান্ত (১৮),সেরাজুল এর পুত্র পারভেজ (৩০),সোহান (১৮),পাপ্প ু(১৯) ও মারফত এর পুত্র সাকিব (৩০) সহ সঙ্গীয় দলবল নিয়ে গতিপথ রোধ করে টাকা পয়সা মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তাদের ছিনতাই কাজে বাঁধা দিলে কিশোর গ্যাং দল উত্তেজিত হয়ে স্বপন ও মিরাজকে মারধর করার পর কিশোর গ্যাং এর হাতে থাকা ছুরি দিয়ে মিরাজ এর গলায় ও স্বপনের পেটে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের আঘাতে স্বপন ও মিরাজ চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন চলে এলে সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় স্বপন ও মিরাজকে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে স্বপনের পিতা আমিন ও মিরাজের পিতা মুসা পৃথকভাবে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুল রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় এবং মামলা এন্ট্রি না করার কারনে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই সাথে বাদীপক্ষের লোকজনকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। বাদী পক্ষ এখন আসামীদের ভয়ে ভীত। পুলিশের সহযোগিতা কামনা করছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার এসআই মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি, আসামীদের ধরার অভিযান অব্যাহত আছে।