সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের বাগানবাড়ী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি মো. হানিফ খলিফা (৫২) ও জোসনা (৪৮) এর মাদকে ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে যুব সমাজ। হানিফ ও জোসনার রমরমা মাদক ব্যবসা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে পচন্ড ক্ষোভ চললেও প্রশাসন নির্বিকার থাকায় তাদের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাড়িয়েছে।
জানাগেছে, বিভিন্ন এলাকায় এই মাদক সরবরাহ করার জন্য মাদক ব্যবসায়ী হানিফ ওরফে খলিফা ও জোসনা মহিলা-পুরুষসহ গড়ে তোলেছেন ৩০/৩৫ জনের একটি বাহিনী। যাদের কাজ হচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জসহ এর আশপাশের এলাকায় মাদক সরবরাহ করা।
এই দুই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ডিএমপির ডিবি পুলিশ ২০০৫ সালে মো. হানিফ ওরফে খলিফাকে শ্যামপুর থানার একটি মাদক মামলায় (মামলা নং-৫৩) গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও চলে তার রমরমা মাদক ব্যবসা। অন্যদিকে মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত জোসনাকে ২০১৫ সালে বাগানবাড়ী এলাকা থেকে মাদক সহ গ্রেফতার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। (যার মামলা নং-২৩)।
মাদক ব্যবসায়ী হানিফ ওরফে খলিফা ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর গ্রামের সুলতান খলিফার ছেলে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের বাগানবাড়ী এলাকায় বসবাস করছেন অপরদিকে মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত জোসনা বাগানবাড়ী এলাকার মো. শাহজাহানের স্ত্রী তার স্বামী ভারতের।
সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী হানিফ মাদক নিয়ে এসে তা বিক্রির জন্য সিদ্ধিরগঞ্জের বাগানবাড়ী এলাকায় তার নিজস্ব বাড়িতে মজুদ রাখেন। আর এসব মাদক বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত জোসনা।
জোসনা খুচরা বিক্রির জন্য এই মাদক তাদের তৈরি করা বাহিনী দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে থাকেন। যার কারনে হাত পাতলেই মাদকের দেখা মিলে বাগানবাড়ী এলাকায়। তাদের এই মাদক সেবন করে ধ্বংস হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া তরুন যুবক ও যুবতীরা।
এক সময় এই স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা মাদকে আসক্ত হয়ে পরে। পরবর্তীতে মাদকের টাকা না পেয়ে নেমে পরেন বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। যার কারনে দিনে দুপুরে ছিনতাই,ডাকতির অহরহ ঘটনা ঘটছে। এসব মাদক ব্যবসায়ীদের কারনে যুব সমাজ আজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে মুক্তি চায় সিদ্ধিরগঞ্জের এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যাক্তি বলেন, হানিফ ওরফে খলিফা ছিলেন একজন রিকশাওয়ালা। একজন রিকশাওয়ালা কি ভাবে পাচঁটি বাড়ির মালিক হয়? জোসনা ছিলেন একজন কাজের মহিলা। এলাকার বাসা বাড়িতে কাজ করে খেতেন। একজন কাজের মহিলা কি ভাবে তিনটা বাড়ির মালিক হয়? আমরা স্থানীয় প্রশাসনসহ দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তিনি আরও বলেন, মাদক ব্যবসায়ী হানিফ ও জোসনা অবৈধ জাল টাকার ব্যবসা করে। এলাকাবাসী ও সাবেক সিদ্ধিরগঞ্জ পৌর সভার আলহাজ্ব আব্দুল মতিন প্রধানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন অপকর্মের অপরাধে জোসনাকে এলাকা থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে তিন বছর পর ফের এলাকায় এসে আবারও পূর্বের সেই মাদক ব্যবসা শুরু করে। মাদক ব্যসায় এলাকার কেউ বাধা দিলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দামকি দেয়। তাদের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।