সিদ্ধিরগঞ্জ লেকের পাশের সড়কে ময়লাসহ ময়লার গাড়ী রাখায় এলাকাবাসীকে ভোগান্তি ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই মলার দুর্গন্ধে কারণে আশেপাশের বসাবসরত মানুষ দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে এখানকার বাসিন্দারা।
এছাড়া এই গাড়ী গুলো সড়কে সারিবদ্ধভাবে দখল করে রাখায় অনেক সময় সড়কে দূর্ঘটনা ঘটে ও জ্যাম লেগে যায়। এই ময়লার পঁচা গন্ধে চরম ভোগান্তি নিয়ে চলাফেরা করছে এলাকাবাসীসহ সাধারন পথচারীরা।
এ সড়ক দিয়ে আদমজী ইপিজেডের হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক, ওষুধ কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পথচারীরা নাকে রুমাল চেপে চলাচল করতে হচ্ছে। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও যথাযথ তদারকি না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসীর।
গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে, নাসিক ৭নং ওয়ার্ডের লেকের পাশের সড়কটিতে এমন চিত্র দেখা মিলে।
বেসরকারি কলেছের ছাত্রী জান্নাত আরা শিমু বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে এ সড়কের একপাশ দিয়ে চলাচল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সড়কের বড় একটি অংশে ময়লার গাড়ী থাকায় প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়। পাশেই হাতিরঝিল খ্যাত সিদ্ধিরগঞ্জ লেক দূর্গন্ধের কারনে এই লেক ধরে যাতায়াতকালে নাক চেপে ধরতে হয়।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন রফিকুল ইসলাম বলেন, আজকে অনেক দিন ধরে এই সড়কের পাশে ময়লার গাড়ী রাখে সিটি কর্পোরেশনের লোক-জন। এসকল গাড়ী থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধে ছড়ায়। এই দুর্ঘন্ধ নিয়ে আমার অফিস যেতে হয়। নাসিক সিটি কর্পোরেশনে টেক্স দেই কী দুর্গন্ধ নিয়ে অফিস যাও্য়ার জন্য।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, এই ময়লার গাড়ী সরানোর জন্য প্রায় সময় আমি কাউন্সিলরকে বলেছি। কিন্তু কাউন্সিলর কোনো কথাই শুনে না। এই ময়লার দুর্গন্ধে ঘরে থাকতে পারি না। এই দুর্গন্ধ নিতে নিতে আমার ঘরের ছোট ছোট বাচ্চা গুলো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মী বলেন, সড়কের পাশে ময়লার গাড়ী গুলো রাখায় এই সড়কটি ছোট হয়ে যায় আর তখনি দুর্ঘটনা ঘটে। এই তো কিছুদিন আগে এই ময়লার গাড়ীর সাথে অটোর সংঘর্ষ হয় এতে করে অটোর যাত্রী রাস্তায় পরে যায়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান রিপন জানান, আমরা ময়লার বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন বরাবর চিঠি দিয়েছি তারা এখনো কিছু বলেনি। আমাদের এখানে জায়গা নেই তাই এখানে ময়লার গাড়ীগুলো রাখা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা ময়লার গাড়ীর উপর পলিথিন দিয়ে আটকিয়ে দেই যাতে করে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন হিরনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভি করেননি।