নাসিক ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কলাবাগ ওমরপুর শাহী জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি নিয়ে এলাকায় চলছে তীব্র সমালোচনা। কমিটিতে সভাপতিসহ সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন পরিবারের ৫ জনই গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। বিচারাধিন ১৭ মামলার আসামি গিয়াস পুত্র জিএম সাদরিল কমিটিতে থাকায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন সভাপতি, তার চার ছেলের মধ্যে জিএম সাদরিল (নাসিক ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর) ও জিএম ফয়সাল সহ-সভাপতি, জিএম তানভীর ও জিএম কায়সার যুগ্নসম্পাদক পদে রয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ ৫ টি পদে একই পরিবারের ৫ জন থাকায় কমিটিকে পারিবারিক কমিটি বলে মন্তব্য করছেন মুসল্লিরা। সাধারণ সম্পাদক ও ক্যাশিয়ারসহ অন্য পদে যারা রয়েছেন তারাও গিয়াস উদ্দিন পরিবারের ঘনিষ্ট লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। ফলে এই মসজিদ কমিটি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার পাশাপাশি হাস্যকৌতুকের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত চারদলীয় জোট সরকার আমলে এমপি ক্ষমতা বলে এলাকায় একক রাজত্ব কায়েম করে আলোচিত হন গিয়াসউদ্দিন। করেন ব্যপক দুর্নীতি। ক্ষমতা হারানোর পর দুদুকের করা দুর্নীতির মামলার আসামি হয়ে জেলখেটে সমালোচিত গিয়াসউদ্দিন রাজনৈতিক ভাবেও হয়ে পরেন দেউলিয়া।
দলীয়ভাবে কোণঠাসা ও বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজের পিঠ বাঁচাতে আওয়ামীলীগে প্রবেশের চেষ্টাও চালান তিনি। তাতে সুবিধা করতে না পেরে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে নেমে পড়েন শিক্ষাবানিজ্যে।
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেও রাজার হালে সুখে দিন কাটাচ্ছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার আড়ালে। নিজের অবস্থান আরো শক্ত করতে মসজিদ মাদ্রাসায় ঢুকছেন। নিজে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হয়ে ছেলেদেরকে রাখছেন বিভিন্ন পদে। অথচ তার ছেলে জিএম সাদরিল নাশকতাসহ ১৭ টি মামলার আসামি। বিচারাধীন এত মামলার আসামি মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি হওয়ায় হতবাগ এলাকাবাসী।
এবিষয়ে সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করতে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।