বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমাদের কোনো ভয় নেই। করোনা মহামারীকালে একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে গণভবন থেকে দৃঢ় মনোবল নিয়ে তিনি সার্বিক কার্যক্রমের মনিটরিং ও সমন্বয় করেছিলেন।
তিনি যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে সময়োচিত যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন বলেই দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কারনেই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য সেবায় সপ্তম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
শনিবার (১১ জুন) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ইছাখালী এলাকায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা থেকেই প্রধানমন্ত্রী মানুষের কল্যানে এসব কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাস মোকাবিলা প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় সফলতা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব আর সঠিক দিক নির্দেশনার কারণে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে দ্রুততম সময়ে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার কারণে আপমর জনগণ বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এক কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সরকার করোনা মোকাবিলায় অত্যন্ত সফলতা অর্জন করেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি ও যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন সব সময় দুঃস্থ, গরীব ও অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, “নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি ও যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন অসহায় মানুষকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। দুঃস্থ্য ও অসহায় মানুষের চিকিৎসা এগিয়ে এসেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি ও যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম আবু হানিফ হৃদয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. আসলাম হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নিলা, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক শিলা রাণী পাল, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, যুবলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হাসান সহ অনেকে।
চিকিৎসা ক্যাম্পে মেডিসিন, নিউরো ও মেডিসিন, কার্ডিয়াক সার্জারী, মা ও শিশু, হৃদরোগ ও মেডিসিন, ডায়বেটিকস্, চর্ম, যৌন ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দিন ব্যাপী ২২ শতাধিক রোগীদের মধ্যে চিকিৎসাপত্র ও ঔষুধ বিতরণ করেন।