নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হাযাৎ আইভী বলেছেন, শীতলক্ষ্যার দুইপাড়ে প্রচুর শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে। ভারী শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠছে। শীতলক্ষ্যা এমনিতেই মরে যাচ্ছে। কারখানার পানি, সিটি করপোরেশনের পানি পড়ছে। এর মধ্যে নতুন করে হেভি শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা হয়, শীতলক্ষ্যাকে বাঁচানো যাবে না। শীতলক্ষ্যা না বাঁচলে আমরাও বাঁচবো না। যে শহরে পানি নাই, নদী নাই, খাল নাই, সেই শহর সাধারণত বাঁচে না। আজ থেকে ১০-১৫ বছর পরে আমাদের শহরে প্রচুর সমস্যা দেখা দিবে। তাই এই বিষয়টি সংসদে তোলা উচিত। শীতলক্ষ্যার কিছু অংশে কারখানা হতে পারে, কিন্তু পুরো শীতলক্ষ্যার পাড়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হলে শীতলক্ষ্যা ধংসের মুখে যাবে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকালে দুঃস্থ সাংবাদিকের জন্য প্রাপ্ত সাংবাদিকদের জন্য প্রাপ্ত সাংবাদিক কল্যান তহবিল চেক বিতরণ এবং মৌসুমী ফল উৎসব অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা গঠন মূলক সমালোচনো করুন। সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা আমার বেড়ে গেছে। আমার ধৈর্য্য করার ক্ষমতা বেড়ো গেছে। সমাজকে পরিবর্তন করুন। পরিবর্তনের সাথে আমাদের জড়ান।
মেয়র আইভী বলেন, পজিটিভলি নারায়ণগঞ্জকে উপস্থাপন করা উচিত। আমাদের কিছু তো সীমাবদ্ধতা আছে। সেটা দেশবাসী জানে। এর পাশাপাশি আমাদের জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় বলেতে চাই, আমাদের সাতটি নদীর সাথে শীতলক্ষ্যা নদী সন্নিবেশিত। নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্য ব্যবহার জেলাকে পর্যটনে আরো সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন।
জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন সম্পর্কে বলেন, কাকা মাঝে মধ্যে খুব সুন্দর করে সঠিক কথা বলেন, সত্য কথা বলেন। মাঝে মধ্যে নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতির কারণে আবার শান্ত হয়ে পড়ে। শান্ত থাকুক, এই ভাব আমরা চাই না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময়ই সচ্চার চাই। অনেক সময় নিজেকে একা মনে হয়। আপনি, সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু ভাই, মন্ত্রী গাজী মহোদয় আমরা একসাথে নারায়ণগঞ্জের জন্য কাজ করতে চাই।
নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ প্রমুখ।