নারায়ণগঞ্জের অনেকেই লন্ডনে থাকা নেতার কথায় লাফাইতাছেন।লফাইয়া কোন লাভ হবে না, নাইচা যদি গর্তে ঢুকেন তাহলে আমাদের বিচ্ছু বাহিনী কিন্তু ঠিকই হাত দিয়ে বের করে নিয়ে আসবে।
বার বার একই জিনিস চলে না। এবার আগুন দিবেন, মানুষ পুড়িয়ে মারবেন সেটা আর হবে না। এবার যদি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাও বলেন যে, শান্ত হও তাও হবো না। এবার কেউ কারো কথায় শুনবে না। নেতা লন্ডনে বসে হুকুম দেয় আর আপনি লাফাইবেন তা হবে না। ওর তো কিছু হবে না। ফাঁসবেন তো আপনি। সাহস থাকলে নেতাকে লন্ডন থেকে দেশে আসতে বলেন।
বিদেশ থেকে অনেক টাকা আসতেছে দেশে নাশকতা করার জন্য। বিএনপি জেষ্ঠ্য নেতাদের হত্যা করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর দোষ চাপাবে। রাজধানীর কস্তুরি হোটেলের সামনে জেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদের উপর হামলা হয়েছে।
পুলিশ হত্যা চেষ্টাকারীকে আটক করে। সে ভাড়াটে কিলার। আটককৃত কিলার পুলিশকে জানিয়েছে, সাবেক এমপি গিয়াসের ছেলে রিফাত তাঁকে ভাড়া করেছে মামুনকে হত্যা করার জন্য। যদি মামুন মরে যেতো তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাদের উপর দোষ চাপানো হতো।
শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) বিকেল ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে ফতুল্লা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, আঘাত আসবে ধৈর্য্য ধরে তা মোকাবেলা করা হবে। আমরা রাজপথে আছি, আমরাই রাজপথে থাকবো। এই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের জন্ম, তোমরা আমরা নেত্রীকে গালি দিবা, শেখ হাসিনাকে অশ্লীল কথা বলবা, তোমরা রাজপথ দখলে নিবা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে ভাংচুর করবা, ভাস্কর্য ভেঙে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিবা, জননেত্রীকে হত্যার হুমকী দিবা, আমরা কি এটা মেনে নিতে পারি?
খেলা হবে, তোমরা যে ভাষায় খেলতে চাও সে ভাষায় খেলা হবে। যতো যাই হোক, ইনশা আল্লাহ ২০২৪ সালে শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী হবে। আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। এরকম চক্রান্ত আগেও হয়েছে। কিন্ত আল্লাহর রহমতে বেঁচে আছি।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমনের উদ্দেশে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, নিজের মা মরে মরে, আসে না আর আপনার জন্য আসবে কোন দুঃখে। যার মায়ের প্রতি দরদ নাই তার আবার দেশের প্রতি দরদ কেন?
তুই আইতে না পারলে না আস সমস্যা নাই। ছেলের বউ এত বড় ডাক্তার, মা অসুস্থ চিকিৎসার জন্য আসে না। আচ্ছা বুঝলাম বউ বোধহয় স্বামীকে ভালোবাসে। আচ্ছা নাতনি তো আছে। সে তো আসতে পারতো। সেও আসেনি।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লা বাদলের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সহ-সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটন, থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, ওয়ালী মাহমুদ খান, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. শরীফুল হক, জেলা ছাত্রীলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত আলম সানি প্রমুখ।