নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বেওয়ারিশ লাশ দাফন করলেন শীতলক্ষ্যা ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন। মঙ্গলবার(১৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে বেওয়ারিশ লাশ দাফন করলেন শীতলক্ষ্যা ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন।
উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আমলাব মদিনা নগর এলাকার রাস্তার পাশে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির (৪০) লাশ উদ্ধারের দুই দিন পর দাফন করেছেন শীতলক্ষ্যা ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন।
সোমবার ১৮ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের আমলাব মদিনা নগর এলাকার রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ভূলতা ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেয়। পরে ভূলতা ফাঁড়ির পুলিশ খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার ১৯ এপ্রিল লাশটি ভ‚লতা ফাঁড়ির এসআই মিন্টু বৈদ্য শীতলক্ষ্যা ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনকে বুঝিয়ে দেয়। পরে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে রাত ১০টার দিকে গোলাকান্দাইল কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শীতলক্ষ্যা ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাংবাদিক বিপ্লব হাসান, ভ‚লতা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিন্টু বৈদ্য, এসআই দেলোয়ার, এএসআই উত্তম কুমার, এএসআই সামসুদ্দিন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সচিব সামসুদ্দিন মীর, আলী আজগর মুন্সি, মো. বাচ্চু মিয়া, সুমন, কাউছার, মামুনসহ আরো অনেকে।
শীতলক্ষ্যা ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাংবাদিক বিপ্লব হাসান বলেন, আমাদের সংগঠনটি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কোনো লাশের সংবাদ আমাদের কাছে এলে আমরা পুলিশকে অবহিত করি। আইনি প্রক্রিয়া সম্পাদন শেষে যথাযথ সম্মানের সাথে সেই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি।
আমরা গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেনের সহযোগিতায় গোলাকান্দাইল কবরস্থানে লাশ দাফন করতাম। তবে স্থানীয় লোকজন বলছে এই কবরস্থানে আর বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হবে না। যেন অন্য জায়গায় লাশ দাফন করা হয়।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই কবরস্থানে লাশের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে যে, সেই জায়গাটুকুতে সংকুলান হচ্ছে না। সরকারের কাছে আকুল আবেদন বেওয়ারিশ লাশ দাফন করার জন্য যেন একটি জায়গা দেয়, সেইখানে যেন আমরা বেওয়ারিশ লাশগুলো দাফন করতে পারি।