রূপগঞ্জে চার ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে | পরিবেশ আদালত। ১৭ মে পরিবেশ আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার আসামীরা হলেন: এ.আর.বি-১ ও এ.আর.বি-২ মেসার্স বি.আর.বি বিক্স ফিল্ড পরিচালক আলীম উদ্দিন, মের্স বি.আর.বি-২ এর পরিচালক পনির হোসেন, মেসার্স এম.এম বিক্স ও মেসার্স পি.আর.বি বিক্স এর পরিচালক দেলােয়ার মােল্লা ও কে.বি.এম বিক্স ফিল্ডের পরিচালক ইলিয়াস জাকারিয়া।
এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদালতের স্টেনােগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর (পিএ) সাইফুল মীর। তিনি জানান, সংক্ষুব্দ নাগরিকের পরিবেশ মামলায় ৪ ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি করেছে বিজ্ঞ আদালত। আগামী ৭ দিনের মধ্যে গ্রেফতারি পরােয়ানা তামিল করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য রূপগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ ইট ভাটা বন্ধের আদেশ প্রদান করেন। মামলার আসামীরা আদেশে ক্ষুব্ধ হয়ে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। মামলার বাদী ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযােগ দায়ের করেন। অভিযােগের কপি মামলার বাদী দাখিল করেছেন। ইটের ভাটাগুলো কাঞ্চন পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত বলে বাদী নিবেদন করেন। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৩ এর ৮ (১) ধারার বিধান মতে কোন পৌর এলাকায় ইট ভাটা স্থাপন করা বে-আইনী। এছাড়া, ইট ভাটা সমূহের বিরুদ্ধে এলাকার কৃষি জমির টপ সয়েল ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। | এছাড়াও ইট ভাটা সমূহের পরিবেশগত কোন ছাড়পত্র নাই মর্মে বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালককে শুনানীর সুযােগ দেওয়া হয়েছে। শুনানীকালে পরিবেশ অধিদপ্তর কেন আইনানুগ ব্যবস্থা এতদিন নেয়নি সেই বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। ফলে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবেশ আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ এলাকায় ভাটা স্থাপন, টপ সয়েল ব্যবহার ও পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি