বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে আজ সকাল থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীদের চাপ ছিল না বললেই চলে। জরুরি কাজ ছাড়া কেউ তেমন একটা ঘর থেকে বের হননি।
এর ফলে বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকরা। যাত্রী না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ তাদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় কয়েকজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সত্যতাও মিলেছে।
সমীর শেখ নামে এক রিকশাচালক বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এক হাজার টাকার বেশি উপার্জন করি। কিন্তু আজ তেমন কোনো যাত্রী না থাকায় ২০০ টাকাও উপার্জন করতে পারিনি। এখনো অপেক্ষায় আছি, সন্ধ্যার পর যদি যাত্রীর চাপ বাড়ে।
সাগর আহমেদ নামে আরেক রিকশাচালক বলেন, এইসব সমাবেশ আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের কাছে অভিশাপের মতো। আজ সারাদিন রিকশা চালিয়ে এখনো পর্যন্ত মাত্র ৪০০ টাকা উপার্জন করেছি। প্রতিদিন রাতে গ্যারেজে গিয়ে ৪০০ টাকা জমাই দিতে হয়।
আব্দুল করিম নামে আরেক রিকশাচালক বলেন, এতদিন মহাসড়কে রিকশা চালানো সম্ভব হলেও আজ প্রচুর পুলিশ থাকায় মহাসড়কে যেতে পারছি না। মহাসড়কে রিকশা নিয়ে গেলেই আমাদের জরিমানা করছে পুলিশ।
আফজাল হোসেন নামে এক রিকশাচালক জানান, আজ ভয়ে ঘর থেকে সাধারণ মানুষ বের হচ্ছে না। এর ফলে রাস্তায় কোনো যাত্রী নেই।
তিনি আরও বলেন, রিকশা নিয়ে না বের হলে আমার পরিবার খাবে কী? আজ আমাদের এত খারাপ অবস্থাই যে জমার টাকাই উঠছে না।