প্রতিপক্ষের লোকজনের ৫টি মোবাইল আটকে রেখে ছিলো রোমান ও সহযোগীরা।
সেই মোবাইল ফেরত পাওয়া নিয়ে শুরু হয় বাকবিতন্ড, তর্কের এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে খুন হন রোমান।
ঘটনার পর ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার (২৭ মে) দুপুরে দৈনিকসবারকন্ঠকে এ তথ্য জানান বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক।
বিকালে ১৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
গত ২৬ মে রাত সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কলাগাছিয়ায় ঘারমোড়া বাজারে রোমান খুনের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যান বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন (৭ মে দুপুর) পর্যন্ত দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনায় ঘারমোড়া এলাকাসহ এর আশে পাশের এলাকা গুলোতে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। সংঘর্ষের পর সারারাত আলীনগর-ঘারমোড়া এলাকায় টহল দিয়েছে পুলিশ। সকাল থেকে পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে দুটো এলাকায় কড়া নজরদারিতে রয়েছে। সকালে ঘারমোড়া থেকে ছেড়ে যাওয়া সিএনপি আলীনগর আটকিয়ে হয়রানীর অভিযোগও রয়েছে সৈয়ালবাড়ি ঘাট এলাকার বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে।
নিহত রোমান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ সৈয়াল বাড়ি ঘাট এলাকার আদু মিয়ার ছেলে। তাকে ক্যাপ রোমান নামেই বেশি চিনতেন। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে বলে জানা গেছে।
তবে, স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে কলাগাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দৈনিকসবারকন্ঠকে জানান, ঘারমোড়া সরদার বাড়ি এলাকার মহিদ মিয়ার ছেলে অনিক ও তার সহযোগীরা কিছু ছেলেকে মিটিংয়ে না যাওয়া নিয়ে মারধর করে। মারধরের শিকার ছেলেরা গিয়ে মদনগঞ্জ সৈয়লবাড়ী ঘাট এলাকার আদু মিয়ার ছেলে ক্যাপ রোমানকে জানায়। পরে ৬০ থেকে ৭০ জন ছেলে নিয়ে তারাও পাল্টা হামলা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন বেড়িয়ে এসে রোমানকে মারধর করলে সে মারা যান।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।