মাত্র ১৮ ঘন্টা পরেই জামিন পেলেন নারায়নগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ওয়াহিদ সা’দত বাবু।
বুধবার রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাড়ী চাষাড়া বালুরমাঠ বাড়ী ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ গ্রেফতার করেন।
ওয়াহিদ সা’দত বাবুর বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের সাবেক পি,পি এডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, পুলিশ তাকে সারারাত সদর থানায় আটক করে রাখেন। পরে মাঝ রাতে সদর থানার ওসি শাহাজামান জানান নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে তাকে শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনায় একটি জিডি করলে সেটি মামলা হিসেবে অভিযোগ নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই মামলার অপর আসামী গভর্নিং বডির অপর সদস্য সরকার আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ওয়াজেদ আলী খোকন অভিযোগ করেন, যে ঘটনায় বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এটি একটি সাজানো ঘটনা এবং স্কুলের গভর্নিং বডির সাথে শিক্ষকদের অভ্যন্তরীন কোন্দল। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাবু একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির অভিভাক সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি নিজেও এই স্কুলের গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর থানা থেকে বাবুকে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মুন্সি’র আদালতে হাজির করা হলে এডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন এবং এডভোকেট হুমায়ূন সহ ২২জন আইনজীবী আসামীর জামিনের জন্য আবেদন জানান।
এসময় আদালত আসামীপক্ষের শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে ওয়াহিদ সাদত বাবু জানান, একটি বিশেষ মহলের প্রভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার থেকে জামিন পাওয়ার কারন হচ্ছে তিনি এমন কোনো অন্যায় কাজ করেনি যে কারনে তাকে জেলে যেতে হবে। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজে একটি বিশেষ মহল অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ২০০জন শিক্ষার্থীর ভর্তির প্রতিবাদ জানালে অভিযোগকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের সাথে তার বাক-বিতন্ডা হয়।
এরই জের ধরে সে আমার এবং সরকার আলমের বিরুদ্ধে সদর থানায় সাধারন ডাইরী করে। আমরাও বাদী হয়ে আরও একটি সাধারন ডাইরী করলেও সদর মডেল থানা পুলিশ একই ব্যাপারে কোনো প্রকার তদন্ত না করেই আমাকে গ্রেফতার করে। আদালত এ বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাকে জামিন প্রদান করেন। যারা আমাকে চেষ্টা করেছিল জেলে পাঠাতে তাদের সে চেষ্টা বিফল হয়েছে। আমি অভিভাবকদের সাথে নিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব এবং নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের উন্নয়নে কাজ করে যাব।