fbpx
২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, বিকাল ৩:১৭

মহিলা পরিষদের উদ্যোগে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা

বিশেষ প্রতিবেদক
  • আপডেট : নভেম্বর, ১৫, ২০২২, ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
  • ১৩৭ ০৯ বার দেখা হয়েছে
মহিলা পরিষদের উদ্যোগে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার  লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের উদ্যোগে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ ও সামাজিক শক্তিকে সংহত করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

 

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও জেলার সভাপতি বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী।

 

মতবিনিময় সভায় মহিলা পরিষদের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন জেলার সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসিনা পারভীন, আন্দোলন সম্পাদক শোভা সাহা, পরিচালনা করেন লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানারা বেগম।

 

প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে সিপিবি’র জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সমাজ ও রাজনৈতিক সংগঠক দুলাল সাহা, খেলাঘরের জেলা সভাপতি জহিরুল ইসলাম, ‌নারায়ণগন্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিলুফার ইয়াসমিন, আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ বাবু, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলার সাধারণ সম্পাদক ফারুক মহসিন, সাংস্কৃতিক সংগঠক সুজয় রায় চৌধুরী, শিক্ষক শাহানা ফেরদৌসী ও দীপা রানী দাস প্রমূখ।

 

বক্তারা বলেন- বর্তমান সময়ে নারী ও কন্যা নির্যাতনের হার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ভয়াবহ করোনাকালীন সময়ে পারিবারিক নির্যাতন, হত্যা-ধর্ষণ  চরম আকার ধারণ করেছে।   এজন্য দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে, আইনের শাসনের জরুরী প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন দরকার। আইন থাকলেই চলবে না, আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। বাল্য বিবাহ একটি জাতির অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়। অথচ দেশে বাল্যবিবাহ বেড়েই চলেছে। দারিদ্র্যতা, কুসংস্কার, অশিক্ষা, ধর্মীয় গোঁড়ামি, নিরাপত্তার অভাব, বখাটেদের উৎপাত, সচেতনতার অভাব ইত্যাদি কারণে বাল্য বিবাহ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।  বর্তমানে সরকার নারী শিক্ষা প্রসারে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পারিবারিক, সামাজিক ও একাডেমিক শিক্ষা ব্যাপক সংস্কার দরকার। সমাজ ও রাষ্ট্রে সংস্কার দরকার। সকল ধর্মে অন্ধত্ব বেড়েছে। তাই সামাজিক নিরাপত্তা, নারী ও কন্যা নির্যাতন প্রতিরোধ, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ব্যাপক প্রচারণা ও কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ১৯৭০ সাল থেকে সারা দেশে নারী ও কন্যা নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করে চলেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলাও জন্মলগ্ন থেকেই নারী অধিকার রক্ষা ও নির্যাতন প্রতিরোধে আন্দোলন করে আসছে। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় আশাকরি নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করে সবাই কে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত  © ২০২১ সবার কন্ঠ
Design & Developed BY:Host cell BD
ThemesCell