নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আগামীকাল রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) তাদের রিমান্ড শুনানি হবে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আবুল কালাম ভূইয়া (৪৮), মো. আব্দুস সাত্তার (২২), সোহান (১৫), মো. মজিবুর রহমান (৫২), মো. জনি (৩৮), রঞ্জন কুমার দেবনাথ (৩৬), ইমন (১৮), মো. রিমন (২২), রাজিব (৩৮) ও বাদল (৩৩)।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। রোববার আসামিদের বিরুদ্ধে শুনানি হবে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করার অভিযোগে এসআই কামরুল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে।
এই ঘটনায় পুলিশের ১৫ জন ও বিএনপির প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নিহত হন শাওন নামে একজন। নিহত শাওনকে প্রথম থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা যুবদলের কর্মী হিসেবে দাবি করে আসছেন। কিন্তু বিকেল থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শাওনকে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজা হিসেবে দাবি করছেন।
এ নিয়ে শাওনের বাড়ি ফতুল্লার নবীনগর এলাকায় উত্তেজনাকার পরিস্থিতি হয়। শাওনকে যুবদল নয় যুবলীগ কর্মী দাবী করে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেইসঙ্গে তারা সেখানে রাতভর অবস্থান নেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা আসতে চাইলে তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়।
এদিকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) নিহতের বড় ভাই মিলন প্রধান এবং মামা মোতাহার হোসেনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। সেইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শাওনের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। রাত দেড়টায় পুলিশ পাহারায় ফতুল্লার নবীনগর শাহওয়ার আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ শেষে নবীনগর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।