প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ফলক আর আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে আবারও আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের জেলার শীর্ষ নেতারা বলছেন, ‘ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম আর নৈরাজ্য করলে আমরা তাদের একটুও ছাড় দিবো না।’
নারায়ণগঞ্জ বরাবরই রাজনীতিতে সক্রিয়। অনেক আন্দোলন সংগ্রাম নারায়ণগঞ্জ থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সকল আন্দোলনেই রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা। দেশের বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এখানে খুবই সক্রিয়।
গত ১৭ নভেম্বর দিনগত রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঢালুতে অবস্থিত কাঁচপুর উন্নয়ন প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ফলক ভাঙার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এর পরদিন ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের কবিলের মোড়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর হয়। এ ঘটনায় রাতে বন্দর থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনের নামে অভিযোগ করে ছাত্রলীগ কর্মী চিতাশাল এলাকার মো.খালেক মিয়ার ছেলে মো. সোহেল। পরে বিএনপির ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম পাটোয়ারী লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পাশেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুলের বাড়ি। সেখানে বিকাল থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিটিং হয়। মিটিং শেষে সন্ধ্যায় কার্যালয়টি ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা স্বীকার করেছে তাঁরা মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনা দু‘টিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ সমর্থকরা রয়েছে আতঙ্কে।
তবে, নেতাকর্মীদের উত্তেজিত না হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আস্থা রাখার কথা বলছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.আনোয়ার হোসেন।
তিনি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, সমর্থকদের সর্তক অবস্থানে থাকতে অনুরোধ করছি। তাঁদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো, ঘটনা পর্যবেক্ষন করতে এবং কারা করছে, তা চিহ্নিত করতে। পাশাপাশি যারা এ সমস্ত কাজ করছে, তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছে। পাড়া মহল্লার কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, তারা যদি সমাবেশ শান্তিপূর্ণ ভাবে করে আমাদের আপত্তি নাই। তাঁরা যদি ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে যায়, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, তাহলে আওয়ামী লীগের অবস্থান কঠোর হবে। আমরাও তাদের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে প্রদক্ষেপ নিবো। আমরা তাদের একটুও ছাড় দিবো না। আপাতত মামলা করছি।