মে ১৮, ২০২৫, ৬:৪৯ অপরাহ্ন
Shahalam Molla
  • আপডেট : মার্চ, ৩০, ২০২৪, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ২১৪৮৪২ ১৯ বার দেখেছে

বাস্তবে আদর্শ মা, বাংলা সিনেমার ভয়ংকর অভিনেত্রী রিনা খান

বিশেষ সংবাদদাতা
  • আপডেট : সেপ্টেম্বর, ২২, ২০২১, ১:২৩ পূর্বাহ্ণ
  • ৯৫০ ১৯ বার দেখেছে
বাস্তবে আদর্শ মা, বাংলা সিনেমার ভয়ংকর অভিনেত্রী রিনা খান
ফাইল ছবি

 

 

ঢাকাই চলচ্চিত্রে খল অভিনেত্রী হিসেবে যে কজন পরিচিতি পেয়েছেন তা আঙুল গুণে একনিমিষেই বলে দেয়া যায়। তবে তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন রিনা খান। চার দশকের ক্যারিয়ারে এই অভিনেত্রীকে পাওয়া গেছে নানামাত্রিক কূট চরিত্রে।

 

আজ এই অভিনেত্রীর জন্মদিন।

 

রিনা খানের আসল নাম সেলিমা সুলতানা। চলচ্চিত্রে খলচরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত তিনি। পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই দর্শকের জন্য টেনশন। এই বুঝি কোনো কূটচাল দিয়ে সর্বনাশ করলেন কারও।

 

তবে ব্যক্তিজীবনে রিনা খান অন্য মানুষ। সাদামাটা এক জীবন তার আর দশটা নারীর মতোই। শান্ত, নিভৃতচারী কিন্তু মিশুক। একজন আদর্শ মা, সুগৃহিণী। তার দুই ছেলে প্রকৌশলী। জার্মানে থাকেন।

 

সিনেমায় তিনি আজকাল অনিয়মিত। বাসায়ই সময় কাটে। করোনার পর থেকে খুব একটা বাইরেও যাওয়া হয় না।

 

রিনা খানের ভাষ্যে, ‘আমার অধিকাংশ চলচ্চিত্রের কাজ ছিল খল অভিনেত্রী হিসেবে। অন্তত ৫০টি ছবিতে পজিটিভ চরিত্রে কাজ করেছি। এর মধ্যে নায়িকার ভূমিকায়ও অভিনয় করেছি বেশ কয়েকটি ছবিতে। ‘প্রেম যমুনা’, ‘মেঘ বিজলি বাদল’ এমনকি বুলবুল আহমেদের ‘মহানায়ক’ ছবিতেও আমি সহ-নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছি।’

 

একটা সময় কাটপিস ও অশ্লীলতার জোয়ারে অনেক শিল্পীই চলচ্চিত্র থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিলেন। সেই সময় আড়ালে চলে যান রিনা খানও। তবে তার রাজকীয় এক প্রত্যাবর্তন ঘটে রিয়াজ-শাবনূর জুটিকে নিয়ে নির্মিত দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ সিনেমা দিয়ে। এরপর তিনি তৃপ্তি নিয়ে কাজ করেন মহম্মদ হান্নানের ‘পড়ে না চোখের পলক’ সিনেমায়ও। রিনা খান এই দুটি সিনেমাকে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য সেরা বলে মনে করেন।

 

২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, “আমি চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নিয়েছিলাম। কাটপিস আর বাংলা চলচ্চিত্রে ক্রমাগত নোংরামিতে বাধ্য হয়ে চলচ্চিত্র থেকে সরে দাঁড়াই। এর তিন বছর পরে অফার পাই দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ ছবির। গল্পটিও আমার বেশ ভালো লেগে যায়। চলচ্চিত্রে ফিরে আসার এটি একটি কারণ।

 

‘পড়ে না চোখের পলক’ ছবিটি আমাকে তৃপ্তি এনে দিয়েছিল। এই দুটি ছবির চরিত্র আমার মনে দাগ কেটে থাকবে আজীবন।”

 

 

সংবাদটি শেয়ার করে সবাই কে দেখার সুযোগ করে দিন
      
 
   

এ খবরটি আপনার বন্ধুকে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2020 sabarkantho
Design & Developed BY:Host cell BD
asterpress