বন্দরে শেখ রাসেল ক্রীয়া একাডেমী T-10 মোটরসাইকেল ক্রিকেট টুনার্মেন্ট এর নামে লক্ষ-লক্ষ টাকা জুয়া খেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে আমৈর কান্দাপাড়া এলাকাবাসী।
সোমবার (৩০ জানুয়ারী) সকালে উপজেলার ধামগড়ে আমৈর কান্দাপাড়া এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শেখ রাসেল ক্রীয়া একাডেমির প্রেসিডেন্ট ও ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ হোসেনের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নাম কে কুলষিত করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়ার আসর পরিচালনা করা হচ্ছে। বিগত কয়েকবছর যাবৎ তারা ক্রীয়া একাডেমীর নাম ভাঙিয়ে জুয়া খেলা পরিচালনা করে বেশ কয়েকটি পরিবার কে একেবারে নিঃস্ব করে দিয়েছে, তারা জুয়ার টাকা হাসিল করার জন্য ও এলাকার প্রভাব দেখিয়ে খেলার ফলাফল তাদের মনগড়া মতো পরিচালনা করে আসছে, এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত ২৮ জানুয়ারী দুপুরে কড়িয়া বাড়ি এলাকার মৃত আব্দুর রবের ছেলে শামীম কে হাবিব মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা শরীফের নির্দেশে জাহাঙ্গীর আলম জীবন, আতাউর রহমান, নিজাম, জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলাম, নজরুল, ইয়াছিন সহ অজ্ঞাত নামা আরও ১০/১২ জন মিলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও লোহার রড, কাঠের ডাসা, ধারালো চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে গলা টিপে ধরে প্রাননাশের চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়ে পরবর্তীতে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। গত বছরও একই এলাকার রাফি ও সাব্বির জুয়া খেলা বন্ধের প্রতিবাদ করাতে তাদের দ্বারা ব্যাপক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছিলো। আমরা এলাকাবাসী এ সকল ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সে সাথে শেখ রাসেল ক্রীয়া একাডেমীর নাম ভাঙিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকার এ জুয়া খেলা বন্ধের জোড় দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লোকমান হেকীম, তোফায়েল আহমেদ বাদল, মান্নান ভেন্ডার, শফুরউদ্দীন, শহিদুল্লাহ, আনোয়ার, মিজান, ডা. হারুন উর রশিদ, মো. বাহাউদ্দীন, মো. হান্নান, মো. শফিকুল, নাজমুল, সাইফুল ইসলাম, শাহজাহান, কালাম, আমির হোসেন সহ বিক্ষুব্ধ শত শত এলাকাবাসী।
উল্লেখ যে, গত ২৮ জানুয়ারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নাম ভাঙিয়ে জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় কড়িয়া বাড়ি এলাকার মৃত আব্দুর রবের ছেলে শামীম কে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় শামীম বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
অতি শীঘ্রই যদি এ খেলা বন্ধ না করা হয় তাহলে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে-কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় সচেতন মহল।