বন্দরে ধর্ষণের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় রাগে ও ক্ষোভে রুপা (২২) নামে এক যুবতী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ধর্ষন মামলা দায়েরের ৪ দিন পর সোমবার সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার বালিয়াগাও এলাকা থেকে বেলা ১২টায় তার লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
আত্মহননকারি যুবতী রুপা একই এলাকার দিনমজুর রওশন জামিল ওরফে বিষ্ণু মিয়ার মেয়ে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় আরো একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২ বছর ধরে বন্দর উপজেলার বালিয়াগাও এলাকার মৃত জামির খানের লম্পট ছেলে নুরুল আমিন একই এলাকার দিনমজুর রওশন জামিল ওরফে বিষু মিয়ার যুবতী মেয়ে রুপা সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে মধ্যবয়সী লম্পট নুরুল আমিন বিভিন্ন সময়ে নিরিহ যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২২মে সকাল পৌনে ১১টায় প্রতিদিনের মত ভুক্তভোগী যুবতী পিতা ও মাতা কাজে যাওয়ার সুবাদে ওই সময় লম্পট নুরুল আমিন ওই যুবতী বসত বাড়িতে প্রবেশ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতা লম্পট মধ্যবয়সী ধর্ষক নুরুল আমিনকে বিয়ে করার কথা বললে ওই সময় লম্পট বিয়ে করতে অস্বিকার করে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে গত ২ জুন লম্পট নুরুল আমিনকে আসামী করে বন্দর থানায় ৫(৬)২২ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে আত্মহননকারি যুবতী মা মর্জিনা বেগম ও এলাকাবাসী গনমাধ্যমকে জানান, আমি গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করি। আমার স্বামীও দিনমজুর। আমরা কাজের গেলে ওই সুযোগে লম্পট নুরুল আমিন আমার ঘরে আসে। পরে আমার মেয়েকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকার ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে গত ৪ দিন পূর্বে লম্পট নরুল আমিনকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করি। থানা মামলার করার জের ধরে এ ঘটনায় মধ্যবয়সী লম্পট ধর্ষক নুরুল আমিনের স্ত্রী শ্যামলী বেগম ও একই এলাকার তাওলাদ হােসেনের ছেলে ধর্ষকের ভাগ্নে ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইব্রাহিম গত রোববার ধর্ষিতা যুবতী রুপা আক্তারের ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা যুবতী রুপা আক্তার ৬ জুন সোমবার সকাল ১০টায় নিজ ঘরের আঁড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমি ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হই। পরে লাশের সুরুত হাল রির্পোট তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষিতা আত্মহত্যা করার পর থেকে লম্পট ধর্ষক নুরুল আমিন ও অশ্লীল ভিডিও ভাইরালকারি ধর্ষকের স্ত্রী শ্যামলী ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইব্রাহিম পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।