বন্দরে মানসিক ভারসাম্যহীন পাষন্ড পুত্র মাজহারুল ইসলাম ওরফে সজিবের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মা আশেয়া বেগম (৫০) নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে নিহতের পিতা আব্দুল হক বাদী হয়ে বন্দর থানায় পাষান্ড নাতী সজিবকে আসামী করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৭ (১১)২২ ধারা- ৩০২পেনাল কোড ১৮৬০।
এর আগে গত রোববার দিবাগত রাত ৩টায় বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বারপাড়া জহরপুর এলাকায় ওই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত আয়েশা বেগম বন্দর উপজেলার জহরপুর এলাকার আব্দুল হক মিয়ার মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মেয়ে আয়েশা বেগম বাদীর বসত বাড়ীতে পশ্চিম দুয়ারী ঘরে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছে। প্রতিদিনের ন্যায় গত রোববার (৬ নভেম্বর) প্রতিদিনের মত রাতে খাবার খেয়ে আমার মেয়ে আয়েশা বেগম তার ঘরে ঘুমাতে যায়।
ওই রাতে বাদী ছোট মেয়ে আঞ্জুমান পাশের ঘরে আয়েশা বেগম ও মাজহারুল ইসলাম সজিব চিৎকার চেচামেচি শুনে আমাদের ডাক দিলে বাদী ও তার স্ত্রী ও মেয়ে আঞ্জুমান ও তার স্বামী মোস্তফাসহ বিবাদীর শয়ন কক্ষের দরজা খোলার জন্য বাহির থেকে চেষ্টা করি। ওই সময় মাজহারুল ইসলাম সজিবকে দরজা খুলতে বললে সজিব পিছনের দরাজা দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।
ওই সময় বাদীসহ অন্যান্যরা ঘরে ঢুকে দেখে বাদীর মেয়ে আয়শা বেগম ঘরের শয়ন কক্ষের মেঝেতে পরে আছে রক্তাক্ত অবস্থায়। পরে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে আয়শা বেগমকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। হত্যাকান্ডের পর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন পাষান্ড ঘাতক ছেলে মাজহারুল ইসলাম সজিব পলাতক রেয়েছে।
এ ব্যাপারে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক কৃষ্ন পোদ্দার জানান, ছেলে কর্তৃক মা খুনের ঘটনায় ঘাতক ছেলে বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সে সাথে ঘাতক খুনি সজিবকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।