বন্দরে গৃহবধূ আকলিমা বেগম (২৪) এর লাশ উদ্ধারের ৪ দিন পর অবশেষে দিনমজুর স্বামী আমির হোসেন (২৯)কে গ্রেপ্তার করছে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন বারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আমির হোসেন উল্লেখিত এলাকার মৃত আলীনূর মিয়ার ছেলে। গৃহবধূ আকলিমা হত্যাকান্ডে ঘটনায় নিহতের বড় বোন তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত স্বামী আমির হোসেনকে আসামী করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ১৫(২)২৩ ধারা- ৩০২ পেনাল কোড-১৮৬০। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারী রাত ১০টা থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর উপজেলার দক্ষিন বারপাড়া এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত গৃহবধূ আকলিমা বেগম বন্দর উপজেলার ফনকুল এলাকার তারা মিয়ার মেয়ে বলে জানা গেছে।
এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত আমির হোসেন থানা হাজতে আটক আছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
মামলার বাদিনী সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর পূর্বে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ফুনকুল জসিরপাড় এলাকার তারা মিয়ার মেয়ে আলিমা সাথে একই ইউনিয়নের দক্ষিন বারপাড়া এলাকার মৃত আলীনূর মিয়ার ছেলে আমির হোসেনের সাথে বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্ত জীবনে কোন সন্তানাধী ছিল না। বোনের সুখের কথা চিন্তা করে বাদিনী খালা আমানো বেগমের নিকট থেকে হাওলাদ করে নগদ ২ লাখ টাকা ও ১০ মাস পূর্বে পল্লীমঙ্গল এনজিও সোনারগাঁ শাখা হইতে ৩ লাখ টাকা পিকআপ গাড়ী কেনার জন্য আমির হোসেনকে লোন তুলে দেওয়া হয় যার মাসিক কিস্তি ২২ হাজার ৫০০ টাকা। লোনের টাকা হাওলাদের টাকা পরিশোধকে কেন্দ্র করে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবেদ লেগে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাদিনীর বোন আকলিমা বেগম ও তার বোন জামাই আমির হোসেন রাত ১০টায় খাবার খেয়ে তাদের নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পরে। প্রতিদিনের ন্যায় আমার বোন জামাই আমির হোসেন গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৩টায় পিকআপ গাড়ী চালানোর বসত ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ঘরের বাহির দিয়ে ছিটকানি আটকিয়ে চলে যায়। পরবর্তিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় বাদিনীর বোনের প্রতিবেশী মাজেদা বেগম গৃহবধূ আকলিমা বেগমের ঘর বন্ধ দেখতে পেয়ে বাহির থেকে দরজা খুলে গৃহবধূ আকলিমা ডাকা ডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আশে পাশের লোকজনদের ডেকে আনেন। সে সাথে বাদিনীর বোন জামাইকে জানায় আকলিমা আর নেই। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশকে অবগত করলে খবর পেয়ে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনার ৪ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিন বারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বামী আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।