অবশেষে ফতুল্লার বক্তাবলী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মডেল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মুহা: মোখতার হোসাইন শোকজ করা হয়েছে। বুধবার তাকে শোকজ করেন মাদ্রসার অধ্যক্ষ আ ন ম ওলী উল্লা। শোকজ পত্রে অভিযুক্ত মোখতার হোসাইনকে ৭দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মোখতার হোসেনকে দেয়া শোকজপত্রে উল্লেখ্য করা হয়, গত ২৭ থেকে ২৯ মার্চ ৩ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে চাকুরিবিধি লঙ্ঘন করে সরকারী অনুমতি ব্যতিরেকে সৌদী আরবে গমন করেন। বিভিন্ন গনমাধ্যমে এসংবাদ প্রকাশ হয়। এছাড়া প্রকাশিত সংবাদে আপনি ( মোখতার হোসেন) নিজের ফেসবুকে সৌদি রয়েছেন এমন ষ্ট্যাটাসের ছবিসহ প্রকাশ করে।
শোকজে আরো উল্লেখ করা হয়। চাকুরীবিধি অনুযায়ী বিদেশ গমন করতে হলে গর্ভনিংবডির অনুমতি প্রয়োজন মোখতার হোসেন সে অনুমতি না নিয়ে চাকরিবিধির সুষ্পষ্ট লংঘন করেছে। ইতোপূর্বে তিনি একই কাজ করেছেন ।
জানা গেছে, চাকুরিবিধি লঙ্ঘন করে সরকারী অনুমতি ব্যতিরেকে ফতুল্লার বক্তাবলী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মডেল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মুহা: মোখতার হোসাইন সৌদী আরবে একদল কাফেলা নিয়ে ওমরা পালনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিধি লঙ্ঘন করে চাকরির পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে হজ¦ ও ওমরার ব্যবসা করে আসছেন। একই অভিযোগ, এর আগে তাকে শোকজ এবং আর এসব কাজ করবেন না এমনটা মুচলেকা দেয়ার পর আবারো একই কান্ড ঘটিছেন তিনি।
স¤প্রতি তিন দিনের ছুটির দরখাস্ত দিয়ে মুহা: মোখতার হোসেন চলে যান সৌদী আরবে। সেখানে গিয়ে তার ফেসবুকে একটি ষ্ট্যাটাসও দেন তিনি। অথচ একজন এমপিও ভুক্ত প্রভাষক দেশের বাহিরে যেতে হলে শিক্ষা অধিদফতরের অনুমতি বাধ্যতামুলক।
ফেসবুকে মোখতার হোসাইন লিখেছেন, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ পরম তৃপ্তির সাথে মসজিদে নববীতে জুমার নামাজ আদায় করলাম ইনশাআল্লাহ ৩ এপ্রিল ওমরা পালনের জন্য মক্কার দিকে রওয়ানা দিবো। সকলের দোয়া কাম্য। ’’ অথচ গত ২৭ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত মাদ্রাসা থেকে ছুটি মঞ্জুরের আবেদন মুহা:মোখতার হোসাইন লিখেছেন একান্ত ব্যক্তিগত কারনে তার ছুটি প্রয়োজন। একজন আলেম হয়ে ছুটির আবেদনেও তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুহা: মোখতার হোসাইন দীর্ঘদিন ধরে বক্তাবলী মাদ্রাসার প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নিয়ম বহির্ভুতভাবে হজ্বের ব্যবসা করেন। চাকরির চাইতে হজ্ব ব্যবসাটাকে তিনি বেশী গুরুত্ব দেন। কাউকে তোয়াক্কা না করে হজ্ব কাফেলা নিয়ে সৌদী আরবে চলে যান। এনিয়ে তাকে শোকজ ও একাধিবার বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। মুচলেকা দিয়ে পার পেয়ে যায় । কিন্ত তারপরও থেমে নেই মোখতার। এবার ৩ দিনের ছুটির দরখাস্ত দিয়ে ওমরার কাফেলা নিয়ে চলে যায় সৌদী আরব