নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ডে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। এতে করে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকেই অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন। আবার আহত হচ্ছেন অনেকে। ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় পথচারীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৭টি জেলার হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। মহাসড়কে অনেকগুলো পয়েন্টে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও এই পয়েন্টটিতে নেই কোনো ফুটওভার ব্রিজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দেই অবস্থিত। প্রতিবছর স্নানোৎসবে কয়েক লাখ পুন্যার্থী এখানে অংশ নেন। এ বাসস্ট্যান্ড দিয়ে ডুমুরতলা, নোয়াগাঁও, মিনারবাড়ি, লাঙ্গলবন্দ বাজার, জোহরপুরসহ প্রায় ৯-১০টি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত হাজারো পথচারী এ বাসস্ট্যান্ডের এদিক দিয়ে রাস্তা পারাপার হন।
আব্দুল মতিন নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই রাস্তা পারাপার হই। এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ হলে লাঙ্গলবন্দবাসী খুব উপকৃত হবে। তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হবে না। তাই অতি শিগগিরই সরকারের কাছে এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি আমরা। এখানে ফুটওভার ব্রিজ হলে আমরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারতাম।
হাবিবুর রহমান নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, মহাসড়কে যানবাহনগুলো খুব দ্রুত চলাচল করে। তাই রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে আমাদের মনে এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করে।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নারায়ণগঞ্জ শাখার সভাপতি ডা. আল ওয়াজেদুর রহমান বলেন, লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এখানে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হচ্ছে। ফলে প্রায় সময় আমরা এখানে সড়ক দুর্ঘটনার কথা শুনতে পাই। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি অতি শিগগিরই যেন এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, আমাদের একটি টিম পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ডসহ মোঘরাপাড়া, ভবেরচর, দড়িকান্দি, ভাটেরচর মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কোনো ফুটওভারব্রিজ নেই। তাই আমরা এই পাঁটি পয়েন্টেই ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ শুরু করে দিবো।