ফতুল্লায় কিশোর সাকিব (১৪)কে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত দুই ঘাতককে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার রেলস্টেশন এলাকার জনুর ভাড়াটিয়া হবিকুলের পুত্র আতিকুল (১৭) ও দাপা ইদ্রাকপুরের হবুর বাড়ীর সেকান্দার মোল্লার পুত্র ইসলাম মোল্লা (১৮)।
নিহত সাকিব ফতুল্লার দাপা রেলস্টেশন সংলগ্ন আজাদ মিয়ার বাড়ীর গলির ওহাবের বাড়ীর ভাড়াটিয়া রুবেল (সুমন) মিয়ার পুত্র।
হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে দশটার দিকে ফতুল্লার রেলস্টেশন প্লাট ফর্ম মসজিদের পেছনের গলিতে।
নিহতের মা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
মামলার আসামীরা হলো ফয়সাল(১৮), পারভেজ(২২), আতিকুল(১৭), ইসলাম মোল্লা(১৮) ও সোলেয়মান(১৮) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়,নিহত সাকিব ও তার ভাই স্থানীয় একটি সিলভার কারখানায় চাকুরী করিয়া আসিতেছিলো। শনিবার সাকিব কাজে না যেয়ে বাসায় ছিলো।রাত নয়টার দিকে সাকিব বাসার সামনে চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে আতিকুল সহ আরে দু- একজনের সাথে বড় ভাই এবং ছোট ভাই নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয় এবং পরে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে রাত সাড়ে দশটার দিকে অভিযুক্ত আসামী সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪-৫ জন দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রেল স্টেশন মসজিদ এর পার্শ্বে ইউসুফ মিয়ার বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সাকিব ও ছেলের বন্ধু খোকন কে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করতে থাকে।
একপর্যায়ে সাকিবের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আত্নরক্ষার্থে ডাক চিৎকার করলে বাদী এবং তার বড় ছেলে রাকিব(১৯) এগিয়ে এসে আহত সাকিব কে উদ্ধার করে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সাকিব কে মৃত ঘোষনা করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন কবির (ফোর) জানায়, নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামী কে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার স্বীকার করেছে।জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যহাত রয়েছে বলে তিনি জানান।