ফতুল্লায় অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী (১৫) কে উদ্ধারসহ অপহরনকারী সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদ হোসেন শরিয়তপুর জেলার পালং মডেল থানার বালাখানা মাদ্রাসার শারজাহান মীরের পুত্র।
শনিবার (১১ জুন) বিকালে ফতুল্লা মডেল থানার শিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় অপহৃত মাদ্রাসার ছাত্রীর বাবা খোকন শিকারী বাদী হয়ে অপহরনের অভিযোগ এনে গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদ ও তার বাবা শাহজাহান মীরের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে, বাদীর মেয়ে ফতুল্লা থানার দেলপাড়া পেয়ারা বাগানস্থ উম্মলকোড়া মহিলা মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করিয়া আসিতেছিলো। গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদ হোসেন বাদীর বোনের বাসায় যাতায়াত করিতো। সেখান থেকে বাদীর স্ত্রীর মোবাইল ফোন নাম্বার নিয়ে প্রায় সময় ফোন দিতো। বাদীর স্ত্রী বাসার কাজে ব্যস্ত থাকায় প্রায় সময় বাদীর মেয়ে ফোনে কথা বলিতো। বাদীর মেয়ে মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে প্রায় সময় গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদ প্রেমের প্রস্তাব সহ উত্যক্ত করতো।
এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদসহ তার অভিভাবকদের অবগত করা হয়। এতে সাজ্জাদ ক্ষিপ্ত হয়ে আরো বেশী বেপরোয়া হইয়া উঠে এবং মেয়েকে জোর পূর্বক তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। ১৫ মে রাত সাতটার দিকে শিয়াচর তক্কারমাঠস্থ লোকমান মিয়ার ফার্মেসীর সামনে রাস্তার উপর পৌছাইলে সাজ্জাদ বাদীর মেয়েকে জোর পূর্বক একটি সিএনজিতে উঠিয়ে অপহরণ করে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
এদিকে এলাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে বিষয়টি প্রেমঘটিত।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানায়, শনিবার দুপুর তিনটার দিকে তক্কার মাঠ স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাস্তা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতারসহ উদ্ধার করা হয় অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীকে। অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।