প্রভাব বিস্তার ও মাদক স্পটের টাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ফতুল্লার ইসদাইর রাবেয়া স্কুলের পশ্চিম পার্শ্বে রেললাইন এলাকায় শামীম বাহিনীর প্রধান শামীম (৩০)কে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফরিদ (৪৪)নামক এক ঘাতক কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৫ জুন) তাকে জামালপুর জেলার সদর থানার তারগঞ্জস্থ নিজ শ্বশুড়ালয় থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ফরিদ ফতুল্লা থানার জামতলা হাজী হায়দার আলী রোডের সাইফুদ্দিনের ভাড়াটিয়া আব্দুর রশীদের পুত্র।
এর আগে পুলিশ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার এজাহার নামীয় আলী ওরফে ডাকাত আলী, হত্যা কান্ডের মূলহোতা রাজ্জাক বাহিনীর প্রধান রাজ্জাকের ছেলে অসীম ও ফতুল্লা থানার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার আল ইসলামের পুত্র আলামীন কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে এক আসামী আলী ওরফে ডাকাত আলী আদালতে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক আরিফ পাঠান জানান, শামীম হত্যা কান্ডের পরপর আত্নগোপনে চলে যায় গ্রেফতারকৃত ফরিদ। তথ্য প্রযুক্তি এবং নিজস্ব সোর্সের সহায়তায় জামলাপুরের নিজ শ্বশুড়ালয় থেকে ফরিদ কে রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে,মাদক স্পটের টাকা আদায় কে কেন্দ্র করে চলতি বছরের মার্চ মাসের ৬ তারিখ দুপুরে ফতুল্লার ইসদাইর রাবেয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিমে নতুন রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে হাতুড়ি পেটা করে ও কুপিয়ে হত্যা করে শামীম বাহিনীর প্রধান শামীম কে।
এ ঘটনার পর পর পুলিশ ঘটনার মূলহোতাল রাজ্জাক বাহিনীর প্রধান রাজ্জাকের ছেলে অসীম ও আলী ওরফে ডাকাত আলীকে আটক করে। পরে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর থেকে এাজাহারনামীয় আসামী আলামীন কে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় নিহত শামীমের স্ত্রী শর্মী বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হলো- রাজ্জাক বাহিনী প্রধান রাজ্জাক (৪২), আলী ওরফে ডাকাত আলী (৪৫), রাজ্জাকের দুই পুত্র জসিম (২২), অসিম (১৯), ফরিদ (৪০), আলম (৩০), রায়হান (৩২), জাকির (৩৫), জামান (৪০), আল-আমিন (২৮), শান্ত (২০)সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে।