কুষ্টিয়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ও মোবাইল থেকে ছবি সরিয়ে ফেলতে বলায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করেছে রানা (১৭) নামের এক তরুণ। আহত স্কুলছাত্রী বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রানা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খাতের আলী ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পুলিশ আশরাফুল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই স্কুলছাত্রী জানায়, শনিবার বিকেলে ঝাউদিয়া বাজারের কালিতলা এলাকায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে ছিলাম ওই সময় এলাকার দূর সম্পর্কে দুলাভাই আশরাফুল ইসলাম দেখা করার জন্য খবর পাঠায়। পড়া শেষে আমি সেখানে গোলাপের হোটেলে দেখা করতে গিয়ে দেখি রানা উপস্থিত ওই খানে।
আমাকে দেখে রানা বলে, তোমার সমস্যা কী? তখন আমি বলি, আমার ছবি আপনার ছবির সঙ্গে জোড়া লাগিয়েছেন কেন? আমার ছবিগুলো ডিলিট করে দেন। এ সময় রানা জিজ্ঞাসা করে আমি তার সঙ্গে কথা বলি না কেন? এক পর্যায়ে পকেট থেকে ধারালো কিছু বের করে রানা আমার মুখে ও হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
ওই ছাত্রী আরও জানায়, আমি যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়তাম তখন থেকে সে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি তাকে পাত্তা দেইনি।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আলম বলেন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এক ছাত্রী হাসপাতালে আসে। তার মুখে ও হাতে আঘাত রয়েছে। ব্লেড বা খুর জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আঘাত গভীর নয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সরকার বলেন, বিকেলের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। আহত ওই ছাত্রী স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার বিষয়ে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর জায়েদ জানান, রাতে আশরাফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার মূল হোতা রানা নামের ওই যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তারপরও পুলিশ ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে রানাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।