ফতুল্লার ছেলে ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ নিহতের ঘটনায় পুলিশ ও র্যাবের পর এবার চিকিৎসক দাবি করলেন, হত্যাকান্ড নয়, আত্মহত্যা করতে পারেন ফারদিন। হত্যার কোনো আলামত পাননি তাঁরা।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তথ্যটি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মুশিউর রহমান।
তিনি জানান, ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী ফারদিনের পেটে কোনো বিষ বা রাসায়নিক কিছু পাওয়া যায়নি। ফলে বিষপানে মৃত্যু হয়নি তাঁর। তবে তদন্ত সংস্থা বলছে, লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, সেটি হতে পারে। কারণ ময়নাতদন্তে তাঁর মাথায় ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি লাফ দেওয়ার পর কোনো নৌযান, ব্রিজের পিলার বা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে থাকতে পারে।
গত ৮ নভেম্বর ফারদিনের লাশের ময়নাতদন্তের পর নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শেখ ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহের মাথা ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সিভিল সার্জন এএফএম মুশিউর রহমান বলেন, আঘাতের চিহ্নের যে বিষয়টি আরএমও ময়নাতদন্তের পর বলেছিলেন, সেটি তো আছেই। আঘাতের কথা তো এখনও বলছি। তবে আঘাত কীভাবে হয়েছে, সেটি তদন্ত সংস্থার বিষয়। তদন্ত সংস্থা বলছে, ফারদিন লাফ দিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, সবাই একই সুরে কথা বলছেন- এটা আমাদের পরিবারের প্রতি অবিচার।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর বিকেল ৩টায় ডেমরার কোনাপাড়া নিজ বাসা থেকে পরীক্ষার কথা বলে বুয়েটের হলের উদ্দেশে বের হন ফারদিন। বিকেল ৫টার দিকে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে বান্ধবী বুশরার সঙ্গে তিনি দেখা করেন। ৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।