fbpx
২৮শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৭:১০

পুলিশের সাথে চুক্তি করে অর্ধশত অবৈধ অটো চালায় কথিত ক্যামেরাম্যান সাব্বির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সেপ্টেম্বর, ১৫, ২০২২, ১:১৮ পূর্বাহ্ণ
  • ১৭৫ ০৯ বার দেখা হয়েছে
পুলিশের সাথে চুক্তি করে অর্ধশত অবৈধ অটো চালায় কথিত ক্যামেরাম্যান সাব্বির

দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ নগরীতে অবৈধ ভাবে চলাচলরত অটো রিকাশা বানিজ্য করে যাচ্ছে কথিপয় লোকজন। কথিপয় পুলিশ সদস্য ও বিশেষ পেশার নামধারী এক চক্র গড়ে উঠেছে এ শহরে। অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই আবুল বাসারের সাথে মাসোয়ারা ভিক্তিক চুক্তি করে অর্ধশত অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছে কথিত এক ক্যামেরাম্যান সাব্বির। তার বিরুদ্ধে রিকশা চালকদের ভয় দেখানো ও মারধরের অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের নারায়গঞ্জের জেলা প্রতিনিধির ব্যক্তিগত ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করে সাব্বির। এর বাইরে তিনি নিজের পরিচয় ব্যবহার করেন ফালগুনি টিভির জেলা প্রতিনিধি হিসেবে। অথচ পঞ্চম শ্রেণীর গন্ডিও পার করেনি সাব্বির। আর ফালগুনি নামে দেশে কোন বেসরকারি টেলিভিশনও নেই। তাছাড়া স্থানীয় প্রথম সাঁড়ির একটি দৈনিক পত্রিকার রির্পোটার পরিচয়ও দিয়ে বেড়ায় এই যুবক।

ট্রাফিক পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, টিএসআই আবুল বাসার ব্যাটারিচালিত অটো, রিকশা ও মিশুক নগরীতে অবৈধভাবে চালাতে কার্ড বাণিজ্য শুরু করেছেন বেশ আগে থেকে। আর কাজের জন্য প্রথমে সোর্স হিসেবে বেছে নেন সাব্বিরকে। এরপর থেকে তাদের সক্ষতা গড়ে উঠে। পরবর্তীতে এটিএসই বাশারের সাথে মাসোয়ারা ভিক্তিতে চুক্তি করে সাব্বির। চুক্তির নিয়ম হলো সাব্বিরের বানানো ফালগুনি টিভির  কার্ড দেখলে আটকরা অটো, রিকশা ও মিশুক ছেড়ে দিতে হবে। তাদের চুক্তিতে ৫০ টির বেশির তিন চাকার যান রয়েছে। এ জন্য তারা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর চাষাড়া ডাম্পিংয়ে বসে মিটিং করে তাদের এ কারবার আরও বাড়াতে। তাছাড়া সাব্বিরকে দিয়ে ডাম্পপিংয়ের ভেতরে রিকশা চালকদের মারধর করায় বাসার।

সাব্বিরের হয়রানির ভয়ে নাম প্রকাশ করতে চান না রিকশা চালকরা। তবে একাধিক রিকশা চালক জানান, সাব্বির জোড় করে তার ভিজিডিং কার্ড দেয় চালকদের। বিনিময়ে মাসে নেন ১৫০০ টাকা করে। সাথে এক মাসের অগ্রিম। তার কার্ড নিতে না চাইলে গাড়ি ধরিয়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশের কাছে। আর টাকা দিতে দেরি হলে চর থাপ্পর মারে। তবে তার ভিজিডিং কার্য দেখালে অটো ছেড়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশের লোকজন। কারণ সবাই জানে সাব্বির হলো বাসার স্যারের লোক।

 সাব্বিরকে চেনেন এমন কয়েকজন জানান, সাব্বির প্রায়ই মাদক সেবন করে। পুলিশ তার ডোপ টেষ্ট করালে এর প্রমান পেয়ে যাবে। শহরে তার অনেক মাদক সেবী বন্ধুও রয়েছে।  মাদকের

ভিবিন্ন স্পটেও যায় সে। অথচ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়। এরা পবিত্র এ পেশাকে কলংকিত করছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে এটিএসই বাশার অভিযোগ অস্বিকার করেন। এরপর তিনি সাব্বিরকে ঢেকে আনলে সে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এসময় সেখান চলে আসতে গেলে যায়, এটিএসই বাশার ও সাব্বির নামের ওই যুবক একটি ঘরের ভেতরে যাচ্ছে। সেখানেই নাকি তাদের টাকার ভাগ বাটোয়ারা হয়।

বিষয়টি নিয়ে টি,আই করিম শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শহরের এক তৃতীয় অংশ অবৈধ অটোতে স্টিকার লাগানো। আমরা প্রতিদিন এসব গাড়ি আটক করি, ব্যবস্থা নেই। তবে বাসারের সাথে সাব্বির নামে কারো চুক্তির বিষয়ে আমার জানা নেই। যদি এমনটা হয় তাহলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।।

সংবাদটি শেয়ার করে সবাই কে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত  © ২০২১ সবার কন্ঠ
Design & Developed BY:Host cell BD
ThemesCell