শহরের পাঠানতুলিতে অবস্থিত ঢাকা বিরিয়ানি হাউজের ভেতরে খাবার রান্না করার নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের তদন্ত করতে যাওয়া দৈনিক সবার কন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক জিহাদ হোসেনকে হুমকী ও জেরা করে একই এলাকার দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সাংবাদিক কাজল।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক মোঃ জিহাদ হোসেন পাঠানতুলি স্ট্যান্ডের পাশের রেস্তোরা ঢাকা বিরিয়ানি হাউজে গিয়ে সরেজমিনে দেখতে পায়, সেখানে রান্না হচ্ছে নোংরা নর্দমার দুর্গন্ধযুক্ত পানির উপরে। তদন্ত চলাকালিন সময়েই সেখানে স্থানীয় মাস্তান, হলুদ সাংবাদিক “দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় প্রদানকারী” ব্যক্তি কাজল ও তার দলবল এসে হুমকী দিয়ে সাংবাদিক জিহাদকে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করে।
তথাকথিত সাংবাদিক কাজল হুমকী দিয়ে বলে, “কার অনুমতি নিয়ে এখানে এসেছো। এটা আমার এলাকা। এখানে আমার অনুমতি ছাড়া কেনো এসেছো।”
স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক পরিচয়ধারী কাজ এলাকার বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর হোটেল সহ বিভিন্ন রিক্সার গ্যারেজ থেকে মাসিক হিসেবে টাকা নিয়ে থাকে এবং তাদেরকে প্রশাসনের হাত থেকে বিভিন্ন উপায়ে রক্ষা করে আসছে দীর্ঘ দিন যাবৎ।
স্থানীয় এক লোক পরিচয় গোপন রাখার দাবিতে বলেন, “বহুদিন যাবত এই রেস্তোরায় নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরী ও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে তারা দালাল ও মাস্তান দিয়ে মানুষকে হুমকী ও ক্ষতি করার চেষ্টা করে। সেই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না।”
একদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হওয়া খাবার খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে স্থানীয় সহ শহরের লোকজন। অন্যদিকে তাদের প্রভাব এবং ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে সাধারণ মানুষ নিশ্চুপ।
এই বিষয়ে দৈনিক সবার কন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ জিহাদ হোসেন বলেন, আমার এক পরিচিত লোক সেখানে খেতে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সম্মুখিন হয়। তার সূত্রে খবর পেয়ে পেশাদারিত্বের কারণে আমি সেখানে যাই তদন্ত করতে। আমি সেখানে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করি এবং মালিকের সাথে এই বিষয়ে কথা বলি। ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানে “দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার কথিত সাংবাদিক” আমাকে ফোন করে বলে তার জন্য অপেক্ষা করতে। পরবর্তীতে তিনি এসেই আমার উপরে চড়াও হন। উনি আমাকে উদ্দেশ্য প্রণীত ভাবে ইশারা ঈঙ্গিতে হুমকী দেন এবং আমাকে জিজ্ঞেস করেন আমি কার অনুমতি নিয়ে সেখানে গিয়েছি।
কথপোকথনের একপর্যায়ে তিনি এবং তার দলবল আমাদের উপর চড়াও হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করে। আমার সাথে তখন একজন নারী সাংবাদিক ছিল। পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপতর অনুভব করে আমি সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হই। তখন কথিত সাংবাদিক কাজল আমার ছবি তোলে, আমার সাংবাদিক আইডি কার্ডের ছবি তোলে এবং আমাকে দেখে নেয়ার হুমকী দেয়।