নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের বিরুদ্ধে আরও একটি মাদক-অস্ত্র মামলায় চার্জ গঠন হয়েছে।
রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়র জজ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের আদালতে এ চার্জ গঠন করা হয়।
এ সময়ে নূর হোসেনসহ মামলার অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা হলেন- শাহ জালাল বাদল, মোস্তফা জামান চার্চিল, নুরুদ্দিন, রিপন ওরফে ভ্যানিজ রিপন, শাহ জাহান, আলী মাহমুদ, মাসুদ, হারুন অর রশিদ ও সানাউল্লাহ ।
এর আগে ২০১৪ সালে ২৯ মে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের টোকপাড়ায় নূর হোসেন নিয়ন্ত্রিত ট্রাক স্ট্যান্ডের পেছনে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল, ছোরা, রাম দাসহ দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় সিদিরগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, একটি অস্ত্র মামলা চার্জ শুনানি ছিল। শুনানি শেষে আদালত চার্জ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচার কাজ শুরুর আদেশ দেন। সেই সঙ্গে ২৯ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, ২০১৪ সালের ২৯ মে তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও কিছু দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের শুনানি শেষে আদালত চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, একটি মামলা চার্জ গঠনের শুনানির জন্য নূর হোসেনকে কড়া নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। সেই সঙ্গে বিচারিক কার্যক্রম শেষে তাকে আবার কড়া নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহৃত হন। ৩০ ও ৩১ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এক কিলোমিটারের মধ্যে মরদেহগুলোর পায়ে ২৪টি করে ইট বোঝাই সিমেন্টের ব্যাগ বাঁধা ছিল।
এ ঘটনায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।