নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, সরকারের কাছে যথা সমায়ে যথা জিনিস চাইলে, আর ওইখানকার সরকারি কর্মকর্তা যদি ভালো থাকেন তাহলে কোন কাজই বন্ধ হয়ে থাকে না। সব কাজই সম্ভব। আমি একটি জিনিস যেটা করতে পেরেছি সেটা হলো, সাবাইকে একত্রে নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। আমি কোন দল-জাত দেখি নাই। জানি না কে কোন রাগ নিয়ে বসে আছে। নির্বাচন, সেটা তো উপরওয়ালার নির্দেশে হবে। একজন নেতার প্রয়োজন হবে। আর সেই নেতা যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা হন, তাহলে আমরা নির্বাচন করে দেশের উন্নয়ন কর পারবো। নয়তো আমরা আরও পেছন দিকে চলে যাবো।
রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের জাঙ্গাল চৌরাস্তা মহাসড়কে ফুট ওভার ব্রিজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সেলিম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিলে কয়েক ঘন্টা পার হয়ে যাবে। বিগত বছরে তিনি যত উন্নয়ন করেছেন, তার তিনগুন উন্নয়ন হবে আগামী পাঁচ বছরে। এটা আমার চ্যালেঞ্জ রইলো আপনাদের কাছে। আমাদের বাঙ্গালির মধ্যে কিছু রাজাকার ছিলো, যার জন্য আমাদেরকে যুদ্ধ করে শেটাকে স্বাধীন করতে ৯মাস লেগেছিলো।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই আগুন সন্ত্রাসী যারা কখনো নির্বাচন চায় নাই। যারা আজ সন্ত্রাস করছেন, ভাইয়েরা যদি একবার নির্দেশ আসে; তাহলে কেউ বাড়ি-ঘরে শান্তিতে থাকতে পারবেন না আমরা ভালো মানুষও খারাপ হয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বন্দরে আরও অনেক কিছু করার আছে যেগুলো আমাদেরকে করতে হবে। নির্বাচনের কথা এখন না, নির্বাচনের কথা আরও পরে। শিডিউল দেক, কে নির্বাচন করবো আমরা ঠিক করে নেই। নির্বাচনের মাঠে তো দেখি আমি একাই আছি, আর কেউ নাই। দেখিনা আমাদের সাথে কে আসে, কে খেলে, কেমনে নির্বাচন হয়। আপনারা অবশ্যই মানুষ চিনে ভোট দিবেন। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আপনারা থৈরি হয়ে নিবেন, যাতে আপনার ভোটটা আপনি দিতে পারেন।
অনুষ্ঠানে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা সড়ক ও জনপথ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস, বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, বন্দর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হালিমা হোসেন শান্তা, বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়া প্রধান, জেলা পরিষদের সদস্য মাসুম আহাম্মেদ, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহাম্মেদ, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এম এ সালাম।