লঞ্চ থেকে মানুষ নেমে ট্রেন বাস খুঁজতে হবে না; এমন পরিকল্পনা নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মাল্টি-মডেল টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। যেখান থেকে পণ্য আনা নেওয়ার সুবিধাও থাকবে।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ পরিদর্শনে এসে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে এ কথা বলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তাঁর ভাষ্য ‘একটি দেশের ভারস্যমপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া টেকশই উন্নয়ন করা সম্ভব নয়।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেলপথকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা সেতু অতিক্রম করে আমরা এটি চলাচলের জন্য উপযোগী করতে পারবো। তবে, মূল প্রকল্প ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত শেষ হবে ২০২৪ সালে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দূরত্ব কমিয়ে নতুন একটি রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেটার সাথেও সংযুক্ত হবে নারায়ণগঞ্জ। বর্তমানে চট্টগ্রামের সাথে ঢাকার দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার, সড়কটি বাস্তবায়ন করতে পারলে ২৩১ কিলোমিটার হবে।’
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আটকে যাওয়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডাবল লাইন প্রকল্পের জন্য কিছু জায়গা কম হচ্ছে। ফলে এই অংশটা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তাই আজকে আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সাথে নিয়ে সড়কটি সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছি। পাশাপাশি ২নং রেল গেইটের ক্রসিংয়ের যানজট নিরসণে কি করা যায়, সেই পরিকল্পনা করছি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিন অন্তত ৫০টি ট্রেন আসা যাওয়া করতে পারবে, সুবিধা ভোগ করবে নারায়ণগঞ্জের ৭২ শতাংশ মানুষ।
মন্ত্রী বলেন, সব পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে। একমাত্র ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেছেন, ট্রেনটা হলো আমাদের সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান, জনগণকে সেবা দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ, এটা ব্যবসার জন্য না। তাই যাতায়াত ব্যবস্থা আরও বেশি সহজ ও নিরাপদ করতে ট্রেন ব্যবস্থাকে সারাদেশে ধীরে ধীরে আমরা বাড়াচ্ছি। অনেক গুলো প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ গুলো দৃশ্যমান হলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রউফসহ রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।