নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতিসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে হামলা, লুটপাট ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ করেছেন তাঁতী লীগ নেতা মো. লিটন। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতী লীগের আহবায়ক মো. লিটন বাদী হয়ে শুক্রবার (৫ আগষ্ট) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতিসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে
অন্য অভিযুক্তরা হলেন- আদমজী আইল পাড়া এলাকার মৃত করিমের ছেলে মো: আক্তার হোসেন ওরফে পানি আক্তার (৩২), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে ইকবাল (২৮), ইউসুফ আলী প্রধানের ছেলে মো: মান্নান ওরফে মাদক মান্নান (৩৮), মৃত ইউসুফের ছেলে জীবন (৩০), মো: ইউসুফ মিয়ার ছেলে গ্যাস মিজান ওরফে টুন্ডা মিজান (৩৬), সুলতানের ছেলে শাহ আলম (২৮), ভাংগারী বাবুলের ছেলে হৃদয় (২৮), মৃত আতাউর মাষ্টারের ছেলে মো: মামুন ওরফে ভাগিনা মামুন (৩৮), মো: আসলামের ছেলে হিরা (৩০), অফিস বাবু ওরফে ইয়াবা বাবু (৩০), রুবেল (৩২), মৃত কালু মিয়ার ছেলে শামীম (২৯), জাকারিয়ার ছেলে নুর হোসেন (২৫), মুসলিমের ছেলে মিজান ওরফে ভাগিনা মিজান (৩৩), মো: রুহুলের ছেলে সাগর (৩০), মোস্তফা বাবুর্চীর ছেলে বশির (৩০) ও মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে রবিন (২৬)।
চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট দুপুরে আদমজী ইপিজেড চার্মিং ফ্যাক্টরীর ভিতরে প্রবেশ করলে অভিযুক্তরা এসে ভুক্তভোগীদের কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত আক্তার ওরফে পানি আক্তার তার প্রাইভেটকার যোগে দেশীয় অস্ত্র সুইচ গিয়ার, দা, লাঠি, হকিস্টিক, লোহার রড নিয়ে ইপিজেডের ভিতরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষন পর ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেলযোগে কয়েকজন যুবক উপস্থিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীরা তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ১নং অভিযুক্তের হুকুমে সকল অভিযুক্তরা মিলে ভুক্তভোগীদের এলোপাথারী ভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। এবং অভিযুক্ত হৃদয় ও গ্যাস মিজান তাদের হাতে থাকা হকিস্টিক, লোহার রড দিয়ে ভুক্তভোগী লিটন ও সেলিম মজুমদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে মারাত্মক গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ভুক্তভোগী সেলিম মজুমদারের পকেটে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সকল অভিযুক্তরা ইপিজেডের ভিতরে পূনরায় দেখতে পেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, একই দিন বিকেলে ইপিজেডের ভিতরে হামলার ঘটনার জের ধরে অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং লিডার আক্তার ওরফে পানি আক্তারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতী লীগের অফিস ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় অফিসে লাগানো বঙ্গবন্ধুর ছবি, প্রধানমন্ত্রীর ছবি, এমপি শামীম ওসমানের ছবি ও থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাকর্মীদের ছবি ভাংচুর করাসহ অফিসে লাগানো সিসি ক্যামেরা ভেঙে হার্ডডিস্ক ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং অফিস ভাংচুর করে অফিসের কেবিনেটের ড্রয়ারে থাকা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা অভিযুক্তরা নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান পিপিএম বার বলেন, হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী লিটন থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান ওসি।