নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঝোঁপের ভেতরে হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ১২ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিন জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ কাউসার (২০), কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল (২৫), ফাহিম ওরফে জিকো (২০)। এছাড়াও লিমন (২০) ও হানিফ (১৯) নামের আরও দুই জন এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এরা সকলেই বন্দর উপজেলার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে পুরো ঘটনার বর্ননা দিয়েছে।
রোববার (২ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টার দিকে নিহত কায়েস (১৬) তার মিশুক নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। রাতে বাসায় না ফেরায় পরদিন পরিবারের পক্ষ থেকে বন্দর থানায় একটি ডায়েরী করা হয়। (জিডি নং- ১৩৫৯ তারিখ- ২৯-০৯-২০২২)।
শনিবার (১ অক্টোবর) কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া নরপদি এলাকার একটি ঝোঁপ থেকে এক কিশোরের হাত পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে নিশ্চিত করে এটি নিঁখোজ মিশুক চালক কায়েসের লাশ। নিহত কায়েস নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা এলাকার মোঃ কাশেম মিয়ার ছেলে।
নিহতের যমজ ভাই সায়েম জানান, তার ভাই মিশুক চালক। গত বুধবার মিশুক নিয়ে বেড় হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। সেই থেকে নিখোঁজ ছিল তার ভাই কায়েস।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দিপক চন্দ্র সাহা জানান, স্থানীয়দের মধ্যমে খবর পেয়ে কায়েস নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃতদেহটি পচন হওয়ায় কোন আঘাতে চিহৃ বুঝা যাচ্ছেনা। তার পরিবারের সদস্যরা এসে নিহতের পরিহিত পোষাক দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত করে। পরে এসংক্রান্ত একটি মামরা বন্দর থানায় রুজু করা হয়।
এর পর থেকেই পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নেমে যায় এবং ১২ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।হত্যাকান্ডের বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃত শ্যামল, জিকো, লিমন ও হানিফ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নিহত কায়েসের অটো ভারা করে সাবদি ব্রীজের নিচে যায়। সেখানে মদ পান করে, অতঃপর সেখানেই কায়েসকে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে লাশ গুম করার জন্য সেখানেই লাশ ফেলে মিশুক নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। মিশুকটি বিক্রি করতে তাদের সাহায্য করে কাউসার। বিষয়টি এখনো তদন্তধীন রয়েছে।