নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদি ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রাম থেকে মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বারদি বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা তিনজনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন।
গ্রেফতাররা হলেন সোনারগাঁয়ের বারদি ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে রাকিব (২২) এবং নাগপাড়া গ্রামের মৃত মফিজউদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন (২০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী মাদরাসায় যাওয়া আসার পথে রাকিব ও মোশারফ হোসেনসহ কয়েকজন মিলে উত্যক্ত করতো। উত্যক্তের জের ধরে ওই ছাত্রী মাদরাসায় যাওয়া আসা বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে তারা বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রীকে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেয়।
১ নভেম্বর রাত আড়াইটার দিকে ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকা সাড়া দিলে রাকিবের নেতৃত্বে শাকিল ও মোশারফ মুখ চেপে ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশের দৌলরদী ছাগইল্লাপাড়া এলাকার শাকিলের বাড়িতে অপহরণ করে নিয়ে আটকে রাখে। পরে তারা একে একে তিনজন মিলে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
পরে ওই মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলেন। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য সালিশকারীদের কাছে বিচার দাবি করলে তারা বিচারের আশ্বাস দিয়ে ঘুরাতে থাকে। তিনদিনেও এর প্রতিকার না পেয়ে শুক্রবার সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন ওই মেয়ের বাবা। মামলার পর পুলিশ সন্ধ্যায় বারদি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রাকিব ও মোশারফকে গ্রেফতার করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, আমরা গরিব মানুষ। স্থানীয় গ্রাম্য সালিশকারীদের কাছে বিচার দাবি করলে তিনদিনেও তাদের কাছে কোনো প্রতিকার পাইনি। আমি আমার মেয়ের ইজ্জত হারানোর সঠিক বিচার চাই। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।