এক সপ্তাহ পরেই শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। এই আসরকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জবাসীও মেতেছেন বিশ্বকাপ উন্মাদনায়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলছে পতাকা বেচাকেনার হিড়িক।
বিশেষ করে পতাকা তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই সঙ্গে তাদের বিক্রিও বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। দোকানগুলোর সামনে প্রতিদিনই ভিড় লেগে থাকছে।
প্রতি চার বছর পর বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনায় মেতে ওঠে দেশবাসী। বিশ্বকাপ মৌসুম এলেই পথেঘাটে সর্বত্র দেখা মেলে পতাকার বাহার। কোথাও কোথাও যেন পুরো সড়কই চলে যায় পতাকার দখলে। ঘরবাড়িও এর বাইরে নয়। বাড়ির ছাদ বা পছন্দের দলের পতাকার রং শোভা পায় বাড়ির দেওয়ালে।
সরেজমিন দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিশ্বকাপের অংশ নেওয়া বিভিন্ন দলের পতাকা বিক্রি হচ্ছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা শহরের অলিতে গলিতে ফেরি করে পতাকা বিক্রি করছেন। তবে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দলের সমর্থক বেশি থাকায় এ দুই দেশের পতাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং পর্তুগালের পতাকা ও জার্সি বিক্রি হচ্ছে সমান তালে।
পতাকা কারিগর ও নুর হোসেন ভান্ডারী বস্ত্রালয়ের মালিক নুর হোসেন ভান্ডারী বলেন, ‘আগে রেকসিন, বেডশিট, বালিশের কভার ও মাজারের গিলাব তৈরি করতাম। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ায় এখন পতাকা বিক্রি করছি। একটি পতাকা ৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।’
সোহেল ভান্ডারী স্টোরের মালিক মো. সোহেল বলেন, ‘পতাকা বিক্রি করে ব্যবসার মন্দা ভাবটা কাটিয়ে উঠছি। তবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা এই দুই দলের পতাকাই বেশি বিক্রি হচ্ছে। যদি ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে যায় তাহলে পতাকা বিক্রি করে কুলাতে পারবো না। তখন সবাই পতাকা কিনবে।’
কারিগর মো. জাহাঙ্গীর জানান, বাংলাদেশের পতাকা ৫০-১০০, ব্রাজিল ২০০-৩০০, আর্জেন্টিনা ২০০-৩০০, জার্মানি ১৫০-২০০, স্পেন ১৫০-২০০ ও পর্তুগালের পতাকা ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
কথা হয় পতাকা কিনতে আসা কলেজছাত্র রবিউলের সঙ্গে। তিনি আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। তিনি আর্জেন্টিনার পতাকা কিনতে এসেছেন।
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আর্জেন্টিনা দলকে আমার ভালো লাগে। তাই আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করি।’
শহরের মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা মো. মোমেন বলেন, ‘বাসার মধ্যে উভয় সংকটে আছি। ছেলে আর্জেন্টিনা আর মেয়ে ব্রাজিলের সাপোর্টার। দুই দলেরই পতাকা কিনতে হয়েছে। একজনের সঙ্গে কথা বললে অন্যজন মনে করে আমি মনে হয় তার দলের সাপোর্টার।’