পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ করলে ৬০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে কিন্তু ১০ বছর অতিবাহিত হলেও একটি অভিযোগ আমলে নেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে অবশেষে মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিচারক মো. কাউছার আলম এ আদেশদেন। একই সাথে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জকে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- আড়াইহাজার উপজেলার ছোট ফাউসা গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ৩ ছেলে ও জি.এন.বি ব্রিক্স নামের ইটভাটার স্বত্বাধিকারী মো. সামসুল হক, মো. জহিরুল হক ও মো. লিটন।
২০১২ সালে ৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও একই তারিখে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন আমিনুল হক ভূইয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘জি.এন.বি ব্রিক্স নামের ইটভাটাটি আবাসিক এলাকায় করা হয়েছে। ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। কৃষি জমির টপ সয়েল ব্যবহার করছে।’
আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের স্টোনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর (ব্যক্তিগত সহকারী) সাইফুল মীর জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা বে-আইনী। বাদির অভিযোগ ৬০ দিন নয়, বরাং ১০ বছর প্রায় অতিবাহিত হয়েছে। আদালতের বিষয়টি নজরে আসায় অভিযোগ যৌক্তিক বলে মনে করায় মামলা গ্রহণ করে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। আদেশের অনুলিপি পরিবেশ অধিদপ্তর ও আড়াইহাজার থানায় পাঠানো হয়েছে।