নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদি ইউনিয়নে সালিশ চলাকালে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুই যুবক আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বারদি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের মামা মো. ওয়াহিদ মিয়া বাদী হয়ে বিকেলে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওয়াহিদ মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী আলমগীরচর গ্রামের মো. ইকবালের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ডিম ব্যবসার টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বিচার দাবি করেন ওয়াহিদ।
সোমবার উভয়পক্ষ তাদের লোকজন নিয়ে সালিশে উপস্থিত হন। সালিশ চলাকালে ইকবালের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন দেনাদার ওয়াহিদ। এক পর্যায়ে ইকবালের নেতৃত্বে হারুন অর রশিদ, কবির হোসেন, সাইদুল, মুছা, হানিফাসহ ১০-১২ জনের একটি দল ওয়াহিদের ভাগিনা মো. মাসুম ও সালাউদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করেন।
ওয়াহিদ মিয়া বলেন, ‘ইকবালের সঙ্গে ডিমের ব্যবসা ছিল। ব্যবসার হিসাব শেষে আমার কাছ থেকে আড়াই লাখ পাওনা হয়। এক লাখ টাকা পরিশোধও করেছি। বাকি টাকা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা জানালেও ইকবাল আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে। অতিষ্ঠ হয়ে পরিষদ কার্যালয়ে বিচার দাবি করি। ওই সালিশ চলাকালে বাইরে আমার ভাগিনাদের পেয়ে ছুরিকাঘাত করে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইকবালের মোবাইল নম্বরে কল দিলে হামলায় তিনি জড়িত না বলে দাবি করেছেন। তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে ঘটনা ঘটাতে পারে।
বারদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন বাবুল বলেন, ‘সালিশ শুরু হওয়ার আগে বাইরে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এ সালিশে স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকার কথা ছিল।’
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।