ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
Shahalam Molla
  • আপডেট : মার্চ, ৩০, ২০২৪, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ৮২১১৭ ১৯ বার দেখেছে

৬ষ্ঠ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে

নারায়ণগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট : জানুয়ারি, ৩০, ২০২৩, ৯:৫৭ অপরাহ্ণ
  • ১২৬ ১৯ বার দেখেছে
ছবি-১৭ এক সময়ের বেবি চালক বর্তমানে ঢাকেশ^রীর আতংক বক্কর মোল্লা সিদ্ধিরগঞ্জ ঢাকেরশ^রী এলাকার এক সময়ের বেবি চালক বক্কর মোল্লা বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী পরিবারে উত্তরসুরী আজমেরি ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছে ।নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে মাদক ব্যবসা , জুট সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং। রাস্তায় নামলে যেন মনে হয় কোন ভিআইপি যাচ্ছে। সামনে মোটর সাইকেলের মহুড়া পিছনে প্রাইভেটাকার ।এভাবেই রাস্তা দখল করে চলাফেরা করে তারা । সব কর্মকান্ড নিরবে দেখে যাচ্ছে এলাকাবাসি ।ভয়ে কেউ কিছু বলতে পাড়ছে না । এলাকাবাসি জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ ২ নং ঢাকেরশ^রী গোদনাইল এলাকার মৃত. হাশেম মোল্লার ছেলে বক্কর মোল্লা এক সময় বেবি চালাত । পরে এলাকার যুবলীগ নামধারী নেতা কাজী আমিরের হাত ধরে গড়ে তুলে কিশোর গ্যাং। নিয়ন্ত্রনে নেন অপরাধ জগত। তার পর থেকে আর পিছু তাকাতে হয়নি তার । চালিয়ে যাচ্ছে তার অপরাধ জগত। রাস্তায় বেড় হলেই থাকে মোটরসাইকেল বাহিনী। আতংক থাকে সাধারণ জনগন। এলাকাবাসি আরো জানান, বক্কর মোল্লা লামিয়া টের্ডাস নামে সিদ্ধিরগঞ্জ ঢাকেরশ^রীতে অফিস খুলে বসেছেন। সেখানে বসে কিশোর গ্যাং ,মাদক ও জুট নিয়ন্ত্রন করছেন। গড়ে তুলেছেন টর্চারসেল। সেখানে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আদায় করা হয় চাঁদা। শুধু তা নয় সেখানে বসে তার দুই ভাই দেলু ও আল আমিন আর বোন নাজমা আক্তার ও ঝর্না আক্তারের সুদ ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করেন। সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। এভাবে সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত হচ্ছে। স্থানীয় এক কাউন্সিলর জানান, ঐতিহ্যবাহী পরিবারে উত্তরসুরী আজমেরি ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে নামধারী নেতা কাজী আমির ও বক্কর মোল্লা ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছে। এমন কোন অপরাধ নাই তারা করছে না। চাদাবাজি ,মাদক ও কিশোর গ্যাং তাদের নিয়ন্ত্রনে। কাউন্সিল হিসাবে আমার কাছে অনেক বিচার আসে কিন্তু কিছু করতে পারি না। শুধু শুনে যাচ্ছি আর দেখে যাচ্ছি। কিছু করতে পারছি না। কারণ বড় দরবারের লোক । ছবি-১০ এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি যুবলীগ নেতা নান্নুর বিরুদ্ধে মামলা সোনানারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে এবার এক কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন শরিফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। গত শনিবার চীফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। মামলা দায়েরের পর বিজ্ঞ বিচারক মো: নূর মহসীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অপর আসামি হলেন গোহাট্টা এলাকার বাদশা মিয়ার পুত্র আহাম্মদ। মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী শরিফ হোসেন দেশে ফিরে এসে সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চর মেনিখালী মৌজায় লিটন মিয়া ওরফে ইব্রাহীমের কাছ থেকে ৮ শতক জমি ক্রয় করেন বাড়ি নির্মাণের জন্য। জমি নামজারি করে সেখানে মাটি ভরাটও করেন। এরপর দশতলা ভবন নির্মাণের জন্য মাটির পরীক্ষা সম্পন্ন করে সম্প্রতি জমিতে রড, সিমেন্ট ও ইট-বালু নিয়ে আসেন। নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসার পর গত ১০ জানুয়ারি রফিকুল ইসলাম নান্নুর নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী দল জমিতে এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য শ্রমিকদের হুমকি দেয়। খবর পেয়ে জমির মালিক শরিফ ছুটে আসেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন তার ভাই জসিম উদ্দিন, ফয়সাল, সামাদ ও বজলুর রহমান। তারা রফিকুল ইসলাম নান্নুকে কাজ বন্ধ করার জানতে চাইলে সাথে সাথে তাদেরকে লোহার রড, কাঠ ও বাঁশ দিয়ে বেধরক পেটাতে শুরু করে। এ সময় শরিফকে বাঁচাতে তার ভাই ছুঁটে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে নান্নু এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে জমিতে কাজ করতে দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়। এমনকি শরিফকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এ ঘটনায় শরিফ মিয়া আদালতের দ্বারস্থ হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে চীফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালত-৪ জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে শরিফ মিয়া জেলা পুলিশ সুপার বরাবর রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, রফিকুল ইসলাম নান্নুর বাবা বেবী টেক্সি চালক মোস্তফা মিয়া মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগি হিসেবে কাজ করেছেন। তার থ্রি হুইলার বেবী টেক্সি দিয়ে রাজাকারদের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যেতেন মোস্তফা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের ষোলপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফিউর রহমান সাফি পিস্তলের বাট দিয়ে মোস্তফাকে ঘাড়ে আঘাত করেছিলেন। এক মাস অসুস্থ থেকে পরে মারা যান নান্নুর বাবা বেবী চালক মোস্তফা। নান্নুর বয়স ছিল তখন ৪/৫ বছর। অভাব অনটনের সংসারে নান্নুর পড়াশোনাও খুব বেশী দূর এগুয়নি। সংসারের হাল ধরতে শুরু করেন ভারতীয় নিষিদ্ধ শাড়ি আমদানির ব্যবসা। নিজে চোরাই পথে শাড়ি আমদানি করতেন। এরপর শুরু করেন ফেন্সিডিলের ব্যবসাও। জুয়া খেলা ছিল তার নিত্য সঙ্গী। জুয়া খেলে গাড়িও জিতেছিলেন তিনি। এরপরই তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে। পরবর্তীতে তিনি সোনারগাঁয়ের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসনাতের হাত ধরে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সোনারগাঁ থেকে ঢাকায় চলাচলকারী স্বদেশ, দোয়েল, নাফ পরিবহন থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন নান্নু। এছাড়া সিএনজি স্ট্যান্ড, অটোরিকশা, বেবী স্ট্যান্ডের চাঁদাও আসতো তার পকেটে। একটা সময় শুরু করেন জমি দখল, বাজার দখল, টেন্ডারবাজি। নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের সাথে তার নাম জড়িয়ে যায় খুব দ্রæত। এছাড়াও ২০১৯ সালের অক্টোবরে সোনারগাঁয়ে সরকারী কর্মকর্তাকে নিজ রুমে তালাবদ্ধ করে রাখারও অভিযোগ আছে উপজেলা যুবলীগের এই সভাপতির বিরুদ্ধে। একটি ব্রিজের ঠিকাদারি কাজের বিল প্রাপ্তিতে বিলম্ব হওয়ায় নান্নু দলবল নিয়ে সোনারগাঁ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল জব্বারকে তার কক্ষের ভেতরে রেখে বাহির থেকে দরজা আটকে দিয়েছিলেন তিনি। গত বছর ১ জুন চাঁদা না দেয়ায় এক সিএনজি চালককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল নান্নুর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সিএনজি চালকরা নান্নুর অপকর্মের বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করেছিলেন। এছাড়াও কাইকারটেক হাটের ইজারা নিয়ে দলীয় লোকদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলাও করেছিল নান্নু বাহিনী। তাছাড়া স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধীতা করে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন নান্নু। প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হুমকীও দিয়েছিলেন তিনি। যার ভিডিও সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়েছিল। নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হয়ে দলকে কলুষিত করা এই নান্নুকে দল থেকে বহি:স্কারের দাবি তুলেছেন আ’লীগের তৃণমূল কর্মীরা।

সাংবাদিকদের উন্নয়ন ও কল্যাণে ৬ষ্ঠ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি সোমবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অভিষেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক এম এ মান্নান ভূঁইয়া।

জাঁকজমকপূর্ণ অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রিফাত ফেরদৌস, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মাহবুবুল আলম, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের লাইব্রেরীয়ান দেবাশীষ ভদ্র, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার প্রদীপ রায় ও বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী মিজানুর রহমান। আনন্দ বিনোদনে ১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাসহ ৩১ সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সদস্য সচিব মোঃ সাইমুন ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুভেচ্ছা স্মারক বিতরণ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাব কাজ করবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ছবি-১৭
এক সময়ের বেবি চালক বর্তমানে 
ঢাকেশ^রীর আতংক বক্কর মোল্লা
সিদ্ধিরগঞ্জ ঢাকেরশ^রী এলাকার এক সময়ের বেবি চালক বক্কর মোল্লা বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী পরিবারে উত্তরসুরী আজমেরি ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছে ।নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে মাদক ব্যবসা , জুট সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং। রাস্তায় নামলে যেন মনে হয় কোন ভিআইপি যাচ্ছে। সামনে মোটর সাইকেলের  মহুড়া পিছনে প্রাইভেটাকার ।এভাবেই রাস্তা দখল করে  চলাফেরা করে তারা । সব কর্মকান্ড নিরবে দেখে যাচ্ছে এলাকাবাসি ।ভয়ে কেউ কিছু বলতে পাড়ছে না ।

এলাকাবাসি জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ ২ নং ঢাকেরশ^রী গোদনাইল এলাকার মৃত. হাশেম মোল্লার ছেলে বক্কর মোল্লা এক সময় বেবি চালাত । পরে এলাকার যুবলীগ নামধারী নেতা কাজী আমিরের হাত ধরে গড়ে তুলে কিশোর গ্যাং। নিয়ন্ত্রনে নেন অপরাধ জগত। তার পর থেকে আর পিছু তাকাতে হয়নি তার । চালিয়ে যাচ্ছে তার অপরাধ জগত। রাস্তায় বেড় হলেই থাকে মোটরসাইকেল বাহিনী। আতংক থাকে সাধারণ জনগন।

এলাকাবাসি আরো জানান, বক্কর মোল্লা লামিয়া টের্ডাস নামে সিদ্ধিরগঞ্জ ঢাকেরশ^রীতে অফিস খুলে বসেছেন। সেখানে বসে কিশোর গ্যাং ,মাদক ও জুট নিয়ন্ত্রন করছেন। গড়ে তুলেছেন টর্চারসেল। সেখানে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আদায় করা হয় চাঁদা। শুধু তা নয় সেখানে বসে তার দুই ভাই দেলু ও আল আমিন আর বোন নাজমা আক্তার ও ঝর্না আক্তারের সুদ ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করেন। সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। 
এভাবে সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত হচ্ছে।  স্থানীয় এক কাউন্সিলর জানান, ঐতিহ্যবাহী পরিবারে উত্তরসুরী আজমেরি ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে নামধারী নেতা কাজী আমির ও বক্কর মোল্লা ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছে। এমন কোন অপরাধ নাই তারা করছে না। চাদাবাজি ,মাদক ও কিশোর গ্যাং তাদের নিয়ন্ত্রনে। কাউন্সিল হিসাবে আমার কাছে অনেক বিচার আসে কিন্তু কিছু করতে পারি না।  শুধু শুনে যাচ্ছি আর দেখে যাচ্ছি। কিছু করতে পারছি না। কারণ বড় দরবারের লোক ।

ছবি-১০
এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি 
যুবলীগ নেতা নান্নুর বিরুদ্ধে মামলা
সোনানারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে এবার এক কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন শরিফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। 

গত শনিবার চীফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। মামলা দায়েরের পর বিজ্ঞ বিচারক মো: নূর মহসীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অপর আসামি হলেন গোহাট্টা এলাকার বাদশা মিয়ার পুত্র আহাম্মদ। মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী শরিফ হোসেন দেশে ফিরে এসে সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চর মেনিখালী মৌজায় লিটন মিয়া ওরফে ইব্রাহীমের কাছ থেকে ৮ শতক জমি ক্রয় করেন বাড়ি নির্মাণের জন্য। জমি নামজারি করে সেখানে মাটি ভরাটও করেন। এরপর দশতলা ভবন নির্মাণের জন্য মাটির পরীক্ষা সম্পন্ন করে সম্প্রতি জমিতে রড, সিমেন্ট ও ইট-বালু নিয়ে আসেন। নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসার পর গত ১০ জানুয়ারি রফিকুল ইসলাম নান্নুর নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী দল জমিতে এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য শ্রমিকদের হুমকি দেয়। খবর পেয়ে জমির মালিক শরিফ ছুটে আসেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন তার ভাই জসিম উদ্দিন, ফয়সাল, সামাদ ও বজলুর রহমান। তারা রফিকুল ইসলাম নান্নুকে কাজ বন্ধ করার জানতে চাইলে সাথে সাথে তাদেরকে লোহার রড, কাঠ ও বাঁশ দিয়ে বেধরক পেটাতে শুরু করে। 

এ সময় শরিফকে বাঁচাতে তার ভাই ছুঁটে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে নান্নু এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে জমিতে কাজ করতে দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়। এমনকি শরিফকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। 

এ ঘটনায় শরিফ মিয়া আদালতের দ্বারস্থ হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে চীফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালত-৪ জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে শরিফ মিয়া জেলা পুলিশ সুপার বরাবর রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, রফিকুল ইসলাম নান্নুর বাবা বেবী টেক্সি চালক মোস্তফা মিয়া মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগি হিসেবে কাজ করেছেন। তার থ্রি হুইলার বেবী টেক্সি দিয়ে রাজাকারদের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যেতেন মোস্তফা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের ষোলপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফিউর রহমান সাফি পিস্তলের বাট দিয়ে মোস্তফাকে ঘাড়ে আঘাত করেছিলেন। এক মাস অসুস্থ থেকে পরে মারা যান নান্নুর বাবা বেবী চালক মোস্তফা। নান্নুর বয়স ছিল তখন ৪/৫ বছর। অভাব অনটনের সংসারে নান্নুর পড়াশোনাও খুব বেশী দূর এগুয়নি। সংসারের হাল ধরতে শুরু করেন ভারতীয় নিষিদ্ধ শাড়ি আমদানির ব্যবসা। নিজে চোরাই পথে শাড়ি আমদানি করতেন। এরপর শুরু করেন ফেন্সিডিলের ব্যবসাও। জুয়া খেলা ছিল তার নিত্য সঙ্গী। জুয়া খেলে গাড়িও জিতেছিলেন তিনি। এরপরই তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে। 

পরবর্তীতে তিনি সোনারগাঁয়ের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসনাতের হাত ধরে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সোনারগাঁ থেকে ঢাকায় চলাচলকারী স্বদেশ, দোয়েল, নাফ পরিবহন থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন নান্নু। এছাড়া সিএনজি স্ট্যান্ড, অটোরিকশা, বেবী স্ট্যান্ডের চাঁদাও আসতো তার পকেটে। একটা সময় শুরু করেন জমি দখল, বাজার দখল, টেন্ডারবাজি। নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের সাথে তার নাম জড়িয়ে যায় খুব দ্রæত। 

এছাড়াও ২০১৯ সালের অক্টোবরে সোনারগাঁয়ে সরকারী কর্মকর্তাকে নিজ রুমে তালাবদ্ধ করে রাখারও অভিযোগ আছে উপজেলা যুবলীগের এই সভাপতির বিরুদ্ধে। একটি ব্রিজের ঠিকাদারি কাজের বিল প্রাপ্তিতে বিলম্ব হওয়ায় নান্নু দলবল নিয়ে সোনারগাঁ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল জব্বারকে তার কক্ষের ভেতরে রেখে বাহির থেকে দরজা আটকে দিয়েছিলেন তিনি। 

গত বছর ১ জুন চাঁদা না দেয়ায় এক সিএনজি চালককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল নান্নুর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সিএনজি চালকরা নান্নুর অপকর্মের বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করেছিলেন। 

এছাড়াও কাইকারটেক হাটের ইজারা নিয়ে দলীয় লোকদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলাও করেছিল নান্নু বাহিনী। তাছাড়া স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধীতা করে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন নান্নু। প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হুমকীও দিয়েছিলেন তিনি। যার ভিডিও সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়েছিল। নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হয়ে দলকে কলুষিত করা এই নান্নুকে দল থেকে বহি:স্কারের দাবি তুলেছেন আ’লীগের তৃণমূল কর্মীরা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান, পিবিআই ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ পরির্দশক এটিএম আক্তারুজ্জামান, দৈনিক ইয়াদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, দৈনিক অপরাধ রিপোর্টের মাসুদুর রহমান দীপু, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি কাজী আনিস, সেক্রেটারী মোঃ মনির, খন্দকার হাফেজ মোঃ আওলাদ সহ আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের নব গঠিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম, কমিটির সদস্য মোঃ মনির হোসেন, মাহমুদ হোসেন রিপন, আল মামুন খান, মেহেদী মনজুর বকুল, মাজহারুল ইসলাম মুন্না, মোঃ জসিম উদ্দিন প্রমুখ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ হোসেন, শাহাদাত হোসেন তৌহিদ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ অনলাইন নিউজ পোর্টালের গণমাধ্যম কর্মীরা।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করে সবাই কে দেখার সুযোগ করে দিন
      
 
   

এ খবরটি আপনার বন্ধুকে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2020 sabarkantho
Design & Developed BY:Host cell BD
asterpress