নারকেলের সকলেই নারকেল খেতে পছন্দ করে। নারকেলের পানি ও শাঁসের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এছাড়াও দুধ ও তেল পুষ্টিগুণে ভরপুর।
বিভিন্ন মজাদার ও মিষ্টান্ন খাবার তৈরিতে নারকেলের বিকল্প নেই। জানলে অবাক হবেন, নারকেল খেলে সারে বিভিন্ন রোগ। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম নারকেলে থাকে ৩৫৪ ক্যালোরি, ৩৩ গ্রাম ফ্যাট, ২০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৩৫৬ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৩.৩ গ্রাম প্রোটিন আছে। তাছারা ভিটামিন বি ৬ ও বি ১২, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, আছে।
নারকেল খেলে যেসব রোগ সারবে:
১. বেশি ক্যালোরি থাকায় নারকেলে তা দ্রুত শরীরে শক্তি যোগায়। তাই কাজের মাঝে ক্লান্তি আসলে বা হালকা খিদে পেলে নারকেল খেলে তাৎক্ষণিক অ্যানার্জি বাড়বে।
২. নারকেল হৃদযন্ত্র ভালো রাখে । এটি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগের সমস্যা দূর করে। নারকেলে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। যা কোলেস্টেরল বাড়ায় না বরং আথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকি কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে।
৩. নারকেল খেলে রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে । এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীরাও পরিমিত নারকেল খেতে পারেন। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৪. নারকেল হাড়ের উন্নতি সাধন করে। এতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যা হাড়সহ দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। একইসঙ্গে অস্ট্রিওপোরেসিস, অস্ট্রিওআর্থারাইটিস ও যে কোনো হাড়ের ব্যাধি সারায়।
৫. নারকেল হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে নারকেল। এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামিনো অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
৬ তাছারা ও নারকেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। করোনাকালে সবারই উচিত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
৭. নারকেলের দুধ লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। একইসঙ্গে হেপাটাইটিস সি, জন্ডিস ও লিভারের বিভিন্ন অসুখ সারাতে নারকেল দুধ কার্যকরী।
৮. নারকেল নিয়মিত খেলে স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসারসহ অন্যান্য ক্যানসারেরও ঝুঁকি কমে।
৯. নারকেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে । নিয়মিত নারিকেল খেলে ত্বক কোমল ও সুন্দর হয়। এছাড়াও নারকেল খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না।
১০. নারকেল চুল ভালো রাখতেও সাহায্য করে । নিয়মিত নারকেল খেলে মাথায় খুশকি ও শুষ্কতা দূর হয়। এছাড়াও নারকেল তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়।
প্রতিদিন নারকেল খাওয়ায় আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ এতে অনেক ফাইবার থাকে। যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। তবে অতিরিক্ত নারকেল খেলে আবার ওজন বাড়তেও পারে। কারণ এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।
২০০৯ সাল থেকে এশিয়ান প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটি (এপিসিসি) সংস্থাটি প্রতিবছর ২ সেপ্টেম্বর নারকেল দিবসটি উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ভারতসহ মোট ১৮টি দেশ নিয়ে এপিসিসি সংস্থাটি গঠিত। এ দিবসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারকেল শিল্পের উন্নতির মাধ্যমে একটি দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে মজবুত করা।