দীর্ঘ ১৮ বছর যাবতই পলাতক। বিচার শেষে আদালত দিয়েছে যাবজ্জীবনের রায়। নিজেকে আত্মগোপনে রাখতে এনআইডি কার্ডে কৌশলে পাল্টেছে নাম-ঠিকানা। এত প্রচেষ্টার পরেও র্যাবের চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি খুন করে নারায়ণগঞ্জ থেকে পালনো এক আসামী।
বরিশালের বাকেরগঞ্জের লেবুখালী ব্রিজের পাশে থেকে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম বাসার ওরফে বশির (৩৮)। সে ফতুল্লার মাসদাইরের কবির হোসেন শিকদারের ছেলে।
২০০৫ সালে ২৬ জানুয়ারি কুরবানীর গরুর চামড়া বেচাকেনা নিয়ে বশিরের সাথে মাসদাইর এলাকায় আনোয়ার হোসেন বিন্দু নামের এক ব্যক্তির ঝগড়া হয়। এরই সূত্র ধরে আনোয়ার হোসেন বিন্দুকে চাপাতি ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পর দিন ২৭ জানুয়ারী ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলার দায়ের করা হয়। হত্যাকান্ডের পর থেকেই বশির পালিয়ে ছিল। তার অনুপস্থিতিতে চলতি বছরের চলতি বছরের ১১ জুন যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
বশিরকে গ্রেপ্তারের পর র্যাবের নারায়ণগঞ্জের আদমজী নগর কার্যালয় থেকে মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাকত আসমী বশিরকে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ লেবুখালী ব্রিজ সংলগ্ন শ্যামলী পরিবহন বাস স্ট্যান্ড এর সামনে থেকে আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।