নরসিংদীর রায়পুরায় গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী শরিফ হাসান (২৫) ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলাধীন আখাউড়া থানার নয়াদিল বাসুদেবপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস অভিযানিক দল কর্তৃক সোমবার (২৯ জুলাই) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো শরিফ হাসান রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের রাশেদ মিয়ার ছেলে। গ্রেফতারকালে তার কাছ থেকে ২টি মোবাইল ও ২টি সীমকার্ড উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিএসসি, নরসিংদীর অতিঃ পুলিশ সুপার ক্যাম্প কমান্ডার খন্দকার মোঃ শামীম হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের জানান, জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী (২৫) দুই সন্তান নিয়ে মির্জাপুর এলাকার স্বামীর বাড়িতে বসবাস করেন। তার স্বামী এক বছর আগে প্রবাসে যান। ২১ আগস্ট রাতে ৬ বছর ও ২ বছর ৬মাস বয়সী দুই শিশু পুত্রদের নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামী শরীফ হাসান (২৫) ও তার সহযোগী শাহপরান (২২) দুইজন দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই গৃহবধূর হাত-পা-মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে সন্তানদের গলায় ছুরি ধরে জিম্মি করা হয়। পরে সন্তানদের সামনে গৃহবধুকে পালাক্রমে নির্যাতন ও একাধিকবার ধর্ষণ করে দুই যুবক। ধর্ষণে বাধা দিলে ওই গৃহবধুকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা এবং হাতে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনা কাউকে জানানো হলে তাকে এবং ছেলেদের হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষক দুজন চলে যান। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “রায়পুরা পূর্বাঞ্চল স্বেচ্ছাসেবী ফোরাম”। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে র্যাব-১১। পরবর্তীতে গোয়েন্দা সূত্র ধরে জানতে পারে যে, গনধর্ষণকারী মামলার প্রধান আসামী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া থানাধীন মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল (বাসুদেবপুর) গ্রামের মন্নাফ মিয়ার বাড়িতে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে আছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মোমবার (২৯ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় উল্লেখিত স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী শরিফকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় র্যাব-১১। গ্রেফতারকৃত আসামীকে রায়পুরা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।