পূর্ব শত্রুতার জেরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে জখম ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, এলোপাথারি পিটিয়ে আহত করার একটি ভিডিও (ভাইরাল) আলোচনায় এসেছে।
আহত যুবকের নাম রাশেদ (২৬)। সে পশ্চিম দেওভোগ এলাকার মো. নিজাম মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় রবিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে ফতুল্লা মডেল থানায় আহত যুবকের বাবা নিজাম বাদী হয়ে, ১২ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও অজ্ঞাত নামা আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযুক্তরা হলো, পশ্চিম দেওভোগ এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম প্রধানের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল প্রধান(৪০), মোহাম্মদ আলীর ছেলে রাজু আহম্মেদ (৩৫), এবাদলের ছেলে আফজাল(৩০), খলিল মুন্সির ছেলে কাওসার(৩০), আবুল বাবুর্চির ছেলে সেলিম (৩০), ভোলাইলের সফর মাঝির ছেলে হীরা(৩৫), একই এলাকার অহিদ (২৫), নাহিদ(২৫), হাবিব(২৬), সোহান(২৮), বিপ্লব (২৮), ও শাসনগাওয়ের মো. সম্রাটসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) নগরীর দেওভোগের ভেলাইল শান্তিনগর সেভেন মাঠ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় ৭নং অভিযুক্ত ভোলাইলের এলাকার অহিদ (২৫)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আহত রাশেদের পিতা মো. নিজাম দেনিক সবারকন্ঠকে জানায়, অভিযুক্তরা এলাকায় বিভিন্ন মাদকের সাথে যুক্ত ছিলো। ঘটনার দিন আমার ছেলে ভোলাইল হতে মটরসাইকেলে কাশিপুর আসার পথে দেওভোগ শেষ মাথা ডাচ বাংলা এটিএম বুথ এর সামনে পৌঁছাইলে অভিযুক্তরা চাপাতি, রামদা, লোহার রড, জিআই পাইপ, লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রসহ পথ আটকিয়ে হামলা করে। পরে ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার সেভেন মাঠে নিয়ে, এলোপাথারী মারপিট করে। এ সময় আমার ছেলের সাথে থাকা মটরসাইকেল, মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, আমার ছেলের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে, অভিযুক্তরা ভয় ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আমি ও আমার মেয়েরা লোকজনদের সহায়তায় আমার ছেলেকে গুরুতর আহতাবস্থায় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে রেফার করে। কিন্তু রাস্তায় অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায়, সাইনবোর্ড একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করাই। ডাক্তার তাৎক্ষনিক আইসিও তে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির(টু) দেনিক সবারকন্ঠকে জানায়, ভিকটিম একটা হাত ও দুইটা পা ভেঙ্গে দিয়েছে হামলাকারীরা। আমরা এই ঘটনায় একটি মারামারি ও হত্যাচেষ্টা মামলা গ্রহন করেছি। এলাকাবাসী মামলার ৭নং আসামী অহিদকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় বাকি জরিতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যহত রেখেছে। গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।