যদি কোনো ঘটনা ঘটে তবে দেশের অবস্থা আফগানিস্তানের চেয়ে খারাপ হবে বলে মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, আল্লাহ মাফ করুন, এবার যদি কোনো ধরনের ঘটনা ঘটে, এই বাংলাদেশ, আফগানিস্তান তো তাও ভালো অবস্থায় আছে, তার চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে। ওরা তাই চায়। বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশকে আমরা ধ্বংস হতে দেবো না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সন্তান।
সোমবার (২৯ আগস্ট ) বিকেলে টাঙ্গাইল জেলার স্থানীয় সুতী ভি.এম. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ এবং মামলার রায় কার্যকর করার দাবিতে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
শামীম ওসমান বলেন, আমি ওদের বিশ্বাস করি না। আপনারা তো কার যেন ফাঁসি চান। ফাঁসি চাওয়ার দরকার কী। এলাকায় এলে যা করার করবেন। ফাঁসি দিতে দড়ি নষ্ট হয়। ২০০১ সালের ১৬ জুন খুব খারাপ কাজ করেছিলাম। কী অপরাধ, নারায়ণগঞ্জের মাটিতে বসে বলেছিলাম আমার দাদার বাড়িতে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটিতে গোলাম আজম ও কুকুরের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বুঝতে পারিনি তারা পেছন থেকে হামলা করবে। আরডিএক্স দিয়ে বোমা হামলা করলো। আমার ২০ জন মানুষ টুকরো টুকরো হয়ে গেল।
সেদিন সেই অবস্থায় একটি কথাই বলেছিলাম, শেখ হাসিনাকে বাঁচান। সেদিন বলেছিলাম আওয়ামী লীগের জন্য। আজ তিনি শুধু আওয়ামী লীগের সম্পদ না, দেশের সম্পদ।
তিনি বলেন, আমি তখন ক্লাস সেভেনের ছাত্র। বঙ্গবন্ধু বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সাড়ে তিন বছরে স্বল্প উন্নত দেশে পরিণত করেছেন। আর পনের বছর পেলে দেশকে জাপানের মতো উন্নত দেশে রূপ দিতেন। সেখানে তাকে হত্যা করা হলো।
শামীম ওসমান বলেন, লজ্জা করে না আমাদের একটা লোককে সপরিবারে মেরে ফেললাম। শেখ হাসিনা বাঁচলো কেন তাই তার ওপর ২১ বার হামলা করা হলো। শেখ হাসিনাকে আগামী দিনের বাংলাদেশের জন্য দরকার।
সামনের সময়টা খুব কঠিন সময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথমে এলো রোহিঙ্গা, তারপর করোনা। এখন এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সারা পৃথিবীর অর্থনীতি টালমাটাল। জানি আপনাদের কষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর বাইরের কোনো রাষ্ট্র নয়।
শামীম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে যখন তিনি তার বাড়িতে গিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে চাইলেন। জিয়াউর রহমান নামাজ পড়তে দেয়নি। তারা বলে রাজপথ দখলে নেবেন। আমরা রাস্তা থেকে জন্ম নেওয়া লোক। আরে খেলেন না। বলেন কবে খেলবেন।
দিনের বেলা গরম বক্তব্য দেন আর রাতের বেলা ফোন দিয়ে বলেন খেয়াল রাইখেন। খেলা হবে, অবশ্যই খেলা হবে। আমরা খেলবো সমস্ত সা¤প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে। আমরা অবশ্যই খেলবো সুন্দর বাংলা গড়ার জন্য।
গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মোমেন এর সভাপতিত্বে সমাবেশে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান।
বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদারসহ অনেকেই।