নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, বিএনপি ও তৃণমূল বিএনপির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তবে এক্ষেত্রে এতটুকু পার্থক্য রয়েছে, তৃণমূল বিএনপিতে উপর থেকে কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হবেনা। আর তৃণমূল থেকে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা কেন্দ্রে বাস্তবায়ন করা হবে। আর বহিস্কার সেটাতো সৌভাগ্যের বিষয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়ে বিএনপি করলো বি চৌধুরী, নাজমুল হুদা, কর্নেল অলি সহ আরও অনেকে দিনে দিনে বহিস্কার হয়েছে। বহিস্কার, জেল ও সাজা অনেক সময় সৌভাগ্যের বিষয়। আজকে আমাকে বহিস্কার করায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে তৃণমূল বিএনপি।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের কালনিবাজার এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা তার পক্ষে নির্বাচনে কাজ করছেন উল্লেখ করে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আজকে যে রূপগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মী ধরপাকর বন্ধ আছে এটা আমার জন্য হয়েছে। এটা আমার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হয়েছে। আমি মাননীয় স্বরাস্ট্রমনত্রী সহ বিভিন্ন মাধ্যমকে বলেছি, এখন কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা বাড়িতে ঘুমোতে পারে। আর আমি নির্বাচনে জয়লাভ করলে আওয়ামী লীগেরও নিরাপদে থাকবে। ওই সময়ে আওয়ামী লীগকে কেউ টুকরো টুকরো করবেনা, বিএনপিকে কেউ দ্বিখন্ডিত করবেনা। একারণে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার সাথে হাটতেছে, আমার পক্ষে নির্বাচনে কাজ করছে। নেতাকর্মীদের সাথে আমার সম্পর্ক এমন হয়েছে, যে পানি কাটলে দুই টুকরো হবে কিন্তু আমরা দুই টুকরো হবো না। দেশ নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন সময়ের দাবি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন, এখানে সুষ্ঠু ভোট হবে। আর আমি যেহেতু একটা দলের মহাসচিব সেহেতু মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজর এখানে থাকবে। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস, রূপগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। যদি রূপগঞ্জের নির্বাচন সুষ্ঠু না হয়, তাহলে এর ফল ভালো হবেনা।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, টাকা বিতরণের ভিডিও আমি গণমাধ্যমকে দি্য়ছি। নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি কোন অ্যাকশন নেয়নি। এভাবে দিন দিন নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনকে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কারা কেন্দ্র দখল করেছে সে বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, তারা কোন অ্যাকশন নেয়নি। এই অবস্থা যত চলতে থাকবে দিন যত ঘনিয়ে আসবে মানুষের বুকের সাহস তত পিছিয়ে যাবে।