নারায়ণগঞ্জ শহর যেন যানজটের নগরী। শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে একশ কমিউনিটি পুলিশকে নিয়ে বিশেষ কার্যক্রম শুরু হলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলায়নি। সকাল, দুপুর কিংবা রাত,যানজট আছেই। এতে নিত্যদিনের ভোগান্তিতে নগরবাসী।
গত ৪ মার্চ একশ কমিউনিটি পুলিশকে নিয়ে শহরে সুষ্ঠ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রæতি দেয় জেলা পুলিশ। শুরুর দিকে তিন থেকে চারদিন যানজট শূন্যে নেমে আসলেও এখন আবারো চিরচেনা রুপে ফিরতে শুরু করেছে শহর। কারণ শুধু মাত্র ব্যাটারি চালিত রিকসা-ইজিবাইক শহরে ঢুকা নিষেধ থাকলেও শহরজুড়ে অবৈধ যানবাহন স্ট্যান্ড আছে আগের মতোই বহাল তবিয়তে। অভিযোগ রয়েছে, ওই সকল অবৈধ ষ্ট্যান্ড থেকে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, মাস্তান, পুলিশ নিয়মিত মাসোহারা পায়।
শহরের মন্ডলপাড়া ব্রিজ, ১নং গেট, ২নং গেট, মেট্রো হলের মোড়, মহিলা কলেজের মোড়, চুনকা পাঠাগার সংলগ্ন সড়ক ও জেলা পরিষদের সামনে কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে।
অথচ সরেজমিনে শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই তীব্র যানজট দেখা গেছে নগরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, নবাব সলিমুল্লাহ সড়ক, সবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, শায়েস্তা খান সড়কসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। এতে ওই সব সড়কে চলাচলাকারী মানুষকে পোহাতে হয় ভোগান্তি। রোজা ও আসন্ন ঈদকে ঘিরে বেড়েছে মানুষের সমাগম। চাহিদা বাড়ায় শহরে বেড়েছে অবৈধ যানবাহন।
এদিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ফিটনেসবিহীন গাড়িসহ অবৈধ যানবাহন শহরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নিয়ম মানার বালাই নেই। ট্রাফিক সার্জেন্টের সামনে দিয়েই অহরহ চলছে এসব যানবাহন ।
নগরের যেসব সড়কে কোনো দিন যানজট দেখা য়ায়নি এখন সেসব সড়কেও দীর্ঘক্ষণ যানজট থাকে। আমলাপাড়া, কলেজরোড, জামতলা, গলাচিপা এলাকার সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী শহরে যানজট ও তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে বলেন, আমরা শহরের ৭টি পয়েন্টে কমিউনিটি পুলিশ নিযুক্ত করেছি৷ কিন্তু এছাড়াও শহরে অলিগলি রয়েছে। অলিগলি দিয়ে শহরে অটোরিকশা প্রবেশ করছে।
তবে আগে যদি ৫ হাজার অটোরিকশা ঢুকত এখন ঢুকে ১০০ থেকে ২০০। ব্যাটারি চালিত অটো প্রবেশ কমে যাওয়ায় রিকশার চলাচল শহরে বেড়েছে। এছাড়া শহরের অবৈধ লেগুনা স্ট্যান্ড শীগ্রই উচ্ছেদ করা হবে। যেহেতু এসব স্ট্যান্ডের স্থায়ী সমাধান করা যায়নি, তাই উচ্ছেদ করা হলেও আবারো বসে।