আকষ্মিকভাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাস ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। টাকা ও ভোগান্তি বাঁচাতে সাধারণ যাত্রীরা সড়কপথ ব্যবহার না করে রেলপথ বেছে নিয়েছেন।
সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, এ রুটের প্রায় সব ট্রেনেই সাধারণ যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ। ঝুঁকি নিয়ে অনেককে ট্রেনে উঠতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সারাদেশের মতো ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটেও পরিবহন ভাড়া বেড়েছে। এ রুটে বিভিন্ন পরিবহনের বাসে টিকিটপ্রতি ২০ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে। আবার কোনো পরিবহন ১০ টাকা করে বেশি আদায় করছেন।
এ রুটে এসি বাসের ভাড়া ৬৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা, বিআরটিসি ডাবল ডেকারের বাসে ৪০ টাকা থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা, বন্ধন ও উৎসব পরিবহনের বাসে ৪৫ টাকা থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ টাকা এবং হিমাচল পরিবহনের বাসে ৪৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
তবে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও বিপরীতে ট্রেনে ভাড়া ঠিক আগের মতোই রয়েছে। জ্বালানি তেলে মূল্যবৃদ্ধির আগেও টিকেটপ্রতি ১৫ টাকা করে নেওয়া হতো এখনো সে ভাড়াই রয়েছে।
আল আমিন নামের এক যাত্রী বলেন, প্রতিদিন বাসেই যাতায়াত করতাম। কয়েকদিন পরপরই বাসের ভাড়া বাড়ছে। এমনিতেই সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তার ওপর নতুন করে ভাড়া বৃদ্ধিতে বেগ পেতে হচ্ছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি যত কষ্টই হোক এখন থেকে ট্রেনেই যাতায়াত করবো।
রোকেয়া বেগম নামের আরেক যাত্রী জানান, আমরা নিরুপায় হয়ে পড়েছি। কোনো দিশা খুঁজে পাচ্ছি না। কয়েকদিন পরপরই এভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তাই কিছুটা চাপ কমানোর জন্য ট্রেনে করে যাতায়াত করবো।
এ বিষয়ে চাষাঢ়া স্টেশন মাস্টার খাজা সুজন বলেন, এ রুটে আট জোড়া ট্রেন চলাচল করে। বাসের ভাড়া বাড়ানোর পর থেকেই প্রায় প্রত্যেকটি ট্রেনে যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগের চেয়ে টিকেটও বেশি বিক্রি হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ স্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম বলেন, বাস ভাড়া বৃদ্ধির পর ট্রেনের যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। আগের থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি যাত্রী যাতায়াত করছে ট্রেনে।