১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূঁর শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারে সকলের মাকফেরাতের জন্য নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকনের নেতৃত্বে শুক্রবার (১৪ আগষ্ট ) দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল, গরীবদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন ও আলোচনা সভা।
এদিকে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর আরামবাগ জামে মসজিদে ১৫ আগষ্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় মোনাজাতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে আরামবাগ মাদ্রাসার এতিম ও সকল মুসল্লিদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন করা হয়।
দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে এসময় উপস্থিত ছিলেন নাসিক ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ, সাধারন সম্পাদক নূর আলী, ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, প্যানেল মেয়র-২ মিনোয়ারা বেগম, ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ কাদির মোল্লা, আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিকলীগ সহসভাপতি আবুল কালাম, চিত্তরঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি কাজী নাজমুল ইসলাম বাবুল, সাবেক ১০ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী আমির, ১০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহর আলী, ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।