ইতিমধ্যেই ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা/ঘনমিটার এবং বাণিজ্যিক (হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০.৫০ টাকা/ঘনমিটার মূল্য নির্ধারণ করে সরকার। বুধবার সকালে এক নির্বাহী আদেশে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।
এমন অস্বাবাবিক দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পরেছে শিল্প উদ্যোক্তারা। তাদের মতে, গ্যাসের এমন দাম বৃদ্ধি শিল্প মালিকদের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি অন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা আছে সেগুলো না বাড়ালে শিল্প প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা মুশিকিল হবে।
‘গ্যাসের এমন মুল্য বৃদ্ধি শিল্প খাতে কি রকম প্রভাব ফেলবে’ এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অন্যতম সংগঠন বিকেএমইএ‘র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিটের প্রসেসিং ব্যয় বাড়বে ১৫ শতাংশ। এর প্রভাব পড়বে উৎপাদনের ওপর। এ খরচ বৃদ্ধির ফলে আমাদের সক্ষমতা হারাবো। আমরা যদি বায়ারকে বলি গ্যাসের দাম বেড়েছে তাই উৎপাদন খরচ বেড়েছে, প্রতি ডজনে ৫০ সেন্ট বাড়িয়ে দাও; তারা দেবে না। এর পর যদি আমরা কম দামে অর্ডার না নিই তাহলে তারা বিকল্প সোর্সিংয়ে চলে যাবে। এতে আমরা কার্যাদেশ হারাবো।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, প্রতি ইউনিট ২৫ টাকা করতে। যদিও এর থেকে উদ্ভূত মূল্য পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের চলে যেতো; তারপরেও আমরা বলেছিলাম গ্যাস নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ দিতে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি ৩০ টাকা করেছে। এটা আমাদের জন্য খুব কঠিন হবে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাবো, গ্যাসের দাম কমিয়ে ২৫ টাকা করা হোক। পাশাপাশি আমাদের অন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা আছে সেগুলো বাড়াতে হবে। যাতে আমরা টিকে থাকতে পারি।
তিনি আরও বলেন, গ্যাসের দাম বাড়বে এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এত অস্বাভাবিক প্রত্যাশা করিনি। যে দাম বেড়েছে তা স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায় নেই।
নানা সমস্যার বিষয় তুলে ধরে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতেই উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সেটা এয়ারফ্রেইট হোক আর শিপপ্রেইট হোক-উভয় খরচ বেড়েছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে সমস্যা প্রকট করে তুলেছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সমস্যা আরও প্রকট হবে। ডাইস কেমিকেল থেকে শুরু করে সব ধরণের মেটা রিয়ালের দাম বেড়েছে। তারপর যদি গ্যাসের বিল বাড়ে তাহলে কস্ট অব ডুইং বেড়ে যাবে। যদিও এ সমস্যা বিশ্বজুড়ে। এর প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে।’